মোবাইল ফোনে কলড্রপে ক্ষতি পূরণের নির্দেশনা দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি)। সংস্থাটির নিদের্শনায় বলা হয়েছে, প্রতি কলড্রপে এক মিনিট করে সংশ্লিষ্ট গ্রাহককে ক্ষতিপূরণ দিতে হবে। কমিশনের সচিব সরওয়ার আলম জানান, কলড্রপের ক্ষতিপূরণ দিতে গত ১৯ জানুয়ারি ওই নির্দেশনা মোবাইল ফোন অপারেটরগুলোর কাছে তারা পাঠিয়েছেন। বিটিআরসি সূত্র জানায়, ২০১৫ সালের ১৫ ডিসেম্বর ডাক ও টেলিযোগাযোগ মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত একটি সভায় কলড্রপ পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা হয়। সে সভায় কলড্রপে ক্ষতিপূরণ বাধ্যতামূলক করার সিদ্ধান্ত নিতে বিটিআরসিকে দায়িত্ব দেয়া হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে নিয়ন্ত্রক সংস্থাটি এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এ বিষয়ে বিটিআরসির সচিব বলেন, গ্রাহকদের সর্বোচ্চ সেবা নিশ্চিত করার জন্যই এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। এর মাধ্যমে মোবাইল অপারেটররা তাদের কলড্রপের সর্বনিম্ন পর্যায়ে নামিয়ে আনবে বলে আমরা আশা করছি। অ্যাসোসিয়েশন অব মোবাইল টেলিকম অপারেটরস অব বাংলাদেশের (অ্যামটব) সাধারণ সম্পাদক নুরুল কবির বিটিআরসির নির্দেশনা পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, বিটিআরসির নির্দেশনা কীভাবে বাস্তবায়ন করা যায় সে বিষয়ে আমরা (মোবাইল ফোন অপারেটর কোম্পানি) সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করছি। এ নিয়ে একটি বৈঠকের বিষয়ে আমরা বিটিআরসিকে চিঠি পাঠিয়েছি। সরকারের দুই বছর পূর্তিতে ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের অর্জন নিয়ে গত ৬ জানুয়ারি এক সংবাদ সম্মেলনে প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম বলেছিলেন, কতোখানি কলড্রপ হলো, আর কতো মিনিট ফেরত দেয়া হলো- বিটিআরসি যেন যথাযথভাবে মনিটরিং করে, সে বিষয়ে নির্দেশনাও দেয়া হবে। কলড্রপসহ মোবাইল ফোন গ্রাহকদের নানা ভোগান্তির প্রেক্ষাপটে গতবছর অগাস্টে বাংলাদেশের মোবাইল ফোন অপারেটরদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাদের সঙ্গে বসে দুই মাস সময় বেঁধে দিয়েছিলেন প্রতিমন্ত্রী। কলড্রপ সমস্যার সমাধান করতে না পারলে গ্রাহকদের ক্ষতিপূরণ দেয়ার বিধান বা গ্রাহকদের টকটাইম ফেরৎ দেয়া যায় কি না, তাও খতিয়ে দেখতে সে সময় বিটিআরসিকে নির্দেশ দেন তিনি। ২০১৪ সালে বাংলাদেশের কয়েকটি অপারেটর পরীক্ষামূলকভাবে কলড্রপে ক্ষতিপূরণের সুবিধা চালু করে ব্যাপক প্রচার চালালেও পরে কোনো ঘোষণা ছাড়াই তা বন্ধ করে দেয়। এ নিয়ে সরকারের মন্ত্রীরাও পরে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। প্রতিবেশী দেশ ভারতেও গত বছর প্রতিটি কলড্রপের জন্য গ্রাহকদের এক রুপি করে ক্ষতিপূরণ দেয়ার নিয়ম চালু করা হয়েছে।