ফতুল্লার বক্তাবলী ইউনিয়ণের আকবর নগর এলাকার প্রভাবশালী দুই গ্রুপের নেতা সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজিকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় পুলিশ ‘লাস্ট চান্স’ দেয়ার ২৬ দিনের মাথায় আবারও বৃহস্পতিবার তারা সংঘর্ষে জড়িয়েছে।
ব্যাপক সংঘর্ষে রহিম হাজি গ্রুপের অন্তত ৮জন টেটাবিদ্ধ হয়েছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহতরা হলেন- নবী হোসেন, তার ছোট ভাই কবির হোসেন, রাজু মিয়া, ইস্রাফিল হোসেন, জয়নাল আবেদীন, আসলাম মিয়া।
এদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আকবর নগর এলাকার মসজিদের সামনে এঘটনা ঘটে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সামেদ আলী হাজি ও রহিম হাজির মধ্যে প্রভাব বিস্তার নিয়ে দীর্ঘ ৭ থেকে ৮ বছর ধরে সংঘর্ষের ঘটনা চলে আসছে। তাদের মধ্যে ইট ব্যবসা নিয়ে দেনা পাওনাও রয়েছে।
গত ১৩ জুলাই রাতে ফতুল্লা মডেল থানায় ওসি শাহ মোহাম্মদ মঞ্জুর কাদের উভয় পক্ষকে নিয়ে আলোচনা করে এলাকায় শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষায় শেষবারের মতো সুযোগ দেন। একই সময় হিসেব করে পাওনা ২৩ লাখ টাকা রহিম হাজিকে পরিশোধ করার জন্য সামেদ আলীকে নির্দেশ দেন ওসি।
কয়েক কিস্তিতে সামেদ আলী সেই টাকা পরিশোধ করার কথা ছিল। কিন্তু ওসির নির্দেশ অমান্য করে সামেদ আলী এখনো পর্যন্ত রহিম হাজিকে এক টাকাও দেননি।
এনিয়ে কয়েকদিন ধরে উভয়পক্ষের মধ্যে বাগবিতণ্ডা চলে আসছে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রহিম হাজির ভাতিজা নবী হোসেন মসজিদের সামনে বসে ছিল। এসময় সামেদ আলীর লোকজন টেটা ও বল্লমসহ দেশীয় ধারালো অস্ত্র হাতে অতর্কিত হামলা চালায়। এতে নবী হোসেনসহ আশপাশে থাকা অন্তত ৮জন টেটাবিদ্ধ হয়। তাৎক্ষনিকভাবে তাদের উদ্ধার করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়েছে।
ঘটনাস্থলে যাওয়া ফতুল্লা মডেল থানার এসআই শাফিউল আলম জানান, প্রভাব বিস্তার ও দেনা-পাওনা নিয়ে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। আহতের সংখ্যা জানা যায়নি। পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে। এলাকায় অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।