The Daily Janatar Kontho
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • অন্যান্য
No Result
View All Result
  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • অন্যান্য
No Result
View All Result
The Daily Janatar Kontho
No Result
View All Result
Home মতামত

তারেক রহমানের পাপ ও খালেদা জিয়ার নির্মম পরিণতি!

by Janatar Kontho
November 10, 2018
in মতামত
তারেক রহমানের পাপ ও খালেদা জিয়ার নির্মম পরিণতি!
Share on FacebookShare on Twitter

বিএনপির নেতারা মুখে যত যাই বলুন না কেন, কোনও দৈবদুর্বিপাক ছাড়া আপাতত বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তাঁর পুত্র দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের রাজনীতিতে ফেরার কোনও সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে না। যতটুকু যা সম্ভাবনা ছিল, আদালতের একটি রায় এবং সেই রায় বাস্তবায়নে নির্বাচন কমিশনের উদ্যোগের ফলে তাও উবে গেছে।

দুর্নীতির দায়ে দণ্ডিত কোনও ব্যক্তি বিএনপির কোনও স্তরের কমিটির নেতৃত্বে থাকতে পারবেন না এবং দলের টিকিটে নির্বাচনেও লড়তে পারবেন না- এটা বলা ছিল বিএনপির গঠনতন্ত্রে। সম্ভাব্য বিপদের আশঙ্কায় ২০১৬ সালের ১৯ মার্চ বিএনপির কাউন্সিলে ধারাটি পরিবর্তন করা হয়।

খালেদা-তারেক যে শাস্তি পেতে চলেছেন, তা বুঝেই জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলার রায় ঘোষণার ১০ দিন আগে ৭ নম্বর ধারা বাদ দিয়ে বিএনপি সংশোধিত দলীয় গঠনতন্ত্র নির্বাচন কমিশনে জমা দেয়, যাতে দলের গঠনতন্ত্রের ওই ধারায় খালেদা-তারেকের নেতৃত্বে থাকা ও মনোনয়ন পাওয়া আটকে না-যায়। কিন্তু তাদের সেই আশা গুড়েবালি হয়েছে। হাইকোর্টের এক রায় বিএনপির এই কৌশল ভেস্তে দিয়েছে। গঠনতন্ত্রের ৭ ধারা বাদ দিয়ে বিএনপি নিজেই নিজের ফাঁদে পড়েছে!

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া কারাদণ্ড পেয়েছিলেন ৮ ফেব্রুয়ারি। তার ঠিক আগে ২৮ জানুয়ারি বিএনপি নেতৃত্ব দলের গঠনতন্ত্রের সংশোধনীর কপি নির্বাচন কমিশনকে পাঠায়। এই সংশোধনীতে দলের গঠনতন্ত্রের ৭ নম্বর ধারাটি বাতিল করা হয়েছে বলে জানানো হয়। বলা হয়, ২০১৬-এর ১৯ মার্চ এই সংশোধনী দলের কাউন্সিলে পাস করা হয়েছে।

মোজাম্মেল হোসেন নামে বিএনপির এক কর্মী সম্প্রতি নির্বাচন কমিশনকে চিঠি লিখে জানান—এই সংশোধনীতে দুর্নীতিকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে, তা যেন গ্রহণ করা না-হয়। একই সঙ্গে তিনি হাইকোর্টেও সংশোধনী বাতিলের আবেদন করে বলেন, এর ফলে দুর্নীতিবাজ ও অযোগ্য ব্যক্তিরা বিএনপির নেতৃত্বে আসার সুযোগ পাবেন। হাইকোর্ট তার আবেদন গ্রহণ করে এক মাসের মধ্যে বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে বলেছে। নিষ্পত্তির আগে পর্যন্ত নির্বাচন কমিশনকেও সংশোধিত গঠনতন্ত্র গ্রহণ না-করার নির্দেশ দিয়েছে।

নির্বাচন কমিশন হাইকোর্ট যেভাবে রায় দিয়েছে তা পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ফলে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে দলীয় নেতৃত্বে রাখা এবং নির্বাচনে তাদের দলীয় মনোনয়ন দেওয়ার সুযোগ আপাতত থাকছে না।

খালেদা-তারেক একসঙ্গে মাইনাস– দেশের অন্যতম প্রধান রাজনৈতিক দল বিএনপির ইতিহাসে এমন দুঃসময় আর আসেনি কোনও দিন। দুর্নীতির দুটি মামলায় দশ এবং সাত বছরের কারাদণ্ড হয়েছে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার। গত আট মাস ধরে তিনি কারাবন্দি। তার বড় ছেলে তারেক রহমানেরও দুর্নীতির দুটি মামলায় সাত ও দশ বছরের কারাদণ্ড হয়েছে। এছাড়া ২১শে আগস্ট মামলায় যাবজ্জীবন কারাদণ্ড হয়েছে তার। এসব দণ্ডাদেশ মাথায় নিয়ে তিনি যুক্তরাজ্যে অবস্থান করছেন।  এ অবস্থায় বিএনপিকে অস্তিত্ব রক্ষার জন্য একাদশ জাতীয় নির্বাচনে যেতে হবে। সেক্ষেত্রে কোনও একটি বিশেষ মহলের প্রেসক্রিপশনে ‘নতুন বিএনপির’ জন্ম হচ্ছে কিনা-এমন জল্পনা কল্পনাও রাজনীতির অন্দরে-বাইরে বেশ জোরেশোরে বইছে।

বিএনপির জন্য রাজনীতি এখন আর সহজ নেই। একথা বলা যায় বিএনপির রাজনীতি কঠিন থেকে কঠিনতর হয়ে গেছে। দেশের অন্যতম জনপ্রিয় প্রধান দলটি কি তবে পথ হারাতে বসেছে? অনিবার্য বিভক্তির চোরাগলিতে প্রবেশ করতে যাচ্ছে?

অনেক বিশ্লেষক বলছেন, দেয়ালে যখন পিঠ ঠেকে যায়, তখন মানুষ তার সংকটকে সম্ভাবনার পথে ঠেলে নতুন পথ খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করে। রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিও সেই পথে পা রাখতে পারে। কিন্তু সেটা কি সম্ভব হবে? বিএনপিতে তেমন নেতৃত্ব কোথায়? সুবিধাবাদ, লাভ ও লোভের মোহ থেকে বের হয়ে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দল পরিচালনার মতো যোগ্য নেতৃত্ব আদৌ কি বিএনপির মধ্যে আছে? ইতোমধ্যে বাজারে নানা ধরনের গুজব ভেসে বেড়াচ্ছে। প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সংলাপে বিএনপির অন্যতম সক্রিয় নেতা গয়েশ্বর রায় যাননি। দলের আরেকজন গুরুত্বপূর্ণ নেতা রিজভী আহমেদকেও দেখা যাচ্ছে না। সম্প্রতি তিনি কর্মীদের উপস্থিতিতে ড. কামাল হোসেনের বিরুদ্ধে বিষোদগার করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘ড. কামাল হোসেনকে শেখ হাসিনার এজেন্ট কিংবা দালাল বলা যায়। এরা বাইরে নাটক করছেন। যত নাটকই করুক, শেষ পর্যন্ত এরা বিএনপিকে নির্বাচনে নিয়ে যাওয়ার জন্য রাজি করাবে। এই সরকারকে বৈধতা দেয়ার জন্যই একটা ষড়যন্ত্র চালাচ্ছেন।’

কর্মীদের আরও বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর নাম নিতে নিতে ড. কামাল হোসেন মুখে ফেনা তোলে। আমাদের নেতাকর্মীরা এগুলো কত সহ্য করবেন! সে তো একবারও জিয়াউর রহমানের নাম উচ্চারণ করেন না। জাতীয় ঐক্যফ্রন্ট করবে বিএনপি, আর সেখানে থাকবে বঙ্গবন্ধুর নাম! বিএনপি কি এখন বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি শুরু করলো নাকি!’

তিনি মনে করছেন, খুব শিগগিরই ড. কামাল হোসেনের আসল চেহারা বিএনপির কাছে উন্মোচিত হবে। আসল কথা হলো বিএনপিতে এখন কোনও যোগ্য নেতা নেই, যে খালেদা-তারেকের অনুপস্থিতিতে দলকে দিশা দিতে পারে। এদিকে বেগম খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরিস্থিতিও খুব একটা আশাপ্রদ নয়। একদা স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনের ‘আপসহীন নেত্রী’ খ্যাতি পাওয়া দুই দুইবারের প্রধানমন্ত্রী শেষ পর্যন্ত কোন রাজনৈতিক পরিসমাপ্তি ও পরিণতির দিকে এগিয়ে যাচ্ছেন, সেটাই প্রশ্ন হয়ে দেখা দিয়েছে।

সবচেয়ে বিস্ময়কর হচ্ছে, নেত্রীর কারাবরণ ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি সম্পর্কে তার দল বিএনপির বক্তব্য ও কর্মসূচি আমজনতার মধ্যে তো বটেই, দলের কর্মী-সমর্থকদের মধ্যেও তেমন কোনও আলোড়ন জাগাতে পারেনি। সংগঠন হিসাবে বিএনপির দুর্বলতম অবস্থান খালেদা মুক্তির ইস্যুতে বারবার প্রমাণিত হয়েছে। নেতাদের কথাবার্তা এবং তৎপরতার বিশ্বাসযোগ্যতাও তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। একটি সুদৃঢ় রাজনৈতিক দল হিসেবে বিএনপিকে গড়ে তোলার ব্যর্থতার ফল শীর্ষ নেতৃত্ব এখন মর্মে মর্মে টের পাচ্ছেন।

বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বিএনপির এই এলোমেলো, দ্বিধাগ্রস্ত ও অসহায় অবস্থান কেন এবং কীভাবে তৈরি হয়েছে? কে বা কারা এই দলীয় অধঃপতনের জন্য দায়ী, সেই প্রশ্নগুলো ঘুরেফিরে আসছে।

অনেক বিশ্লেষকের মত হচ্ছে, বেগম জিয়া এবং বিএনপির আজকের এই পরিণতির জন্য দায়ী তারেক রহমান। আর মা হিসেবে সন্তানকে শাসন করার ব্যর্থতাই তার জীবনের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা। লোভ, ক্ষমতার মদেমত্ত বিপথগামী সাবালক সন্তানকে তিনি শাসন করতে পারেননি। আর পারেননি বলে তিনি নিজে আজ করুণ পরিণতির সম্মুখীন। তারেক রহমান ও তার সাঙ্গপাঙ্গদের পরিকল্পনায় ২০০৪ সালে ২১ আগস্ট জঘন্যতম গ্রেনেড হামলা করে শেষ করে দিতে চেয়েছে বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগের শীর্ষ নেতাদের। এ ঘটনা ক্ষমার অযোগ্য জেনেও তিনি ছেলেকে বাঁচাতে আশ্রয় নিয়েছেন বেআইনি পন্থার। নিজের শাসন আমলে বিচার করেননি এ অপরাধের। বরং দায় চাপানোর চেষ্টা করেছেন আওয়ামী লীগের ওপর। ক্ষমতা চিরস্থায়ী করার নোংরা খেলায় ছেলের অন্যায়ের কাছে মাথানত করেছেন। এতিমদের জন্য আনা টাকা নয়-ছয় করার খেলায়ও ছেলের সঙ্গী হয়েছেন। পরিণতিতে এই শেষ জীবনে এসে নানা রোগব্যাধি নিয়ে নিঃসঙ্গ কারাবাস করছেন। ভোগ-বিলাসী জীবনযাপনে অভ্যস্ত একজন সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবনে এরচেয়ে নির্মম পরিণতি আর কি হতে পারে?

বিএনপি ও খালেদা জিয়া যে চরম একটি অস্তিত্বের সংকটময় পরিস্থিতি পাড়ি দিচ্ছেন, তা দিবালোকের মতো স্পষ্ট। এই পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য আদৌ কোনও কৌশলগত অবস্থান ও কর্মসূচি আছে কিনা, সেটাই এখন পর্যন্ত জনগণ ও কর্মীদের সামনে স্পষ্ট করতে পারেনি বিএনপি। দিকচিহ্ণহীন অস্বচ্ছ পথ ধরে এগুচ্ছে বিএনপি আর এর ফলে খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ‘শেষ পরিণতি’ সম্পর্কে আশঙ্কাজনক একটি বৃত্ত দিনে দিনে পরিপুষ্ট হচ্ছে।

সংকট ও বিপদ থেকে উত্তরণের জন্য লড়াই, সংগ্রাম, আপস সমঝোতার মধ্যে থেকে কোনও একটি পথ যে বেছে নিয়ে এগিয়ে যেতে হয়, এই সাধারণ জ্ঞানটুকুও দেখাতে পারছে না ক্রমশ পিছিয়ে যাওয়া বিএনপি। এমনকি, জন্মের পর থেকে সবচেয়ে সংকটজনককাল অতিক্রম করলেও সেটা বিএনপির বর্তমান নেতাদের চালচলন, কথাবার্তা দেখে বোঝার উপায় নেই। তাদের বডি ল্যাঙ্গুয়েজ ও ভাষা শুনলে দল এবং নেত্রী যে বিপদে আছেন, সেটাই মনে হয় না। বরং মনে হয়, খোদ বিএনপিকে জিম্মি করে দলের বড়মাপের কেন্দ্রীয় নেতাদের কেউ কেউ যেন খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক ‘পরিসমাপ্তি’ ও ‘শেষ পরিণতি’র জন্য অধীরে অপেক্ষা করছেন!

Next Post
শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

শহীদ নূর হোসেন দিবস আজ

No Result
View All Result

সম্পাদকঃ জহিরুল হোসেন চৌধুরী
প্রধান কার্যালয়ঃ প্লট-৫৭৬/এ, ব্লক-ডি, বসুন্ধরা বারিধারা থেকে প্রকাশিত এবং প্লট-বি/৫৬, বসুন্ধরা, খিলক্ষেত, বাড্ডা, ঢাকা-১২২৯ ও সুপ্রভাত মিডিয়া লিমিটেড ৪ সিডিএ বাণিজ্যিক এলাকা, মোমিন রোড, চট্টগ্রাম-৪০০০ থেকে মুদ্রিত।

যোগাযোগ
সাধারণঃ [email protected]
সম্পাদকঃ [email protected]
খবরঃ [email protected]
বিজ্ঞাপনঃ [email protected]

  • হোম
  • জাতীয়
  • রাজনীতি
  • অর্থনীতি
  • বিশ্ব
  • সারাদেশ
  • বিনোদন
  • খেলাধুলা
  • সারাদেশ
  • আইন-আদালত
  • তথ্য প্রযুক্তি
  • অন্যান্য

Copyright © 2024 All rights reserved by Janatar Kontho.

No Result
View All Result
  • ‘বঙ্গবন্ধু হত্যার পর দালাল আইন প্রত্যাহার করে ধর্ষকদের রাষ্ট্রীয়ভাবে পুনর্বাসিত করা হয়েছে’
  • ২৫ বিমা কোম্পানিকে আইপিওতে আসতে আইডিআরএর তাগিদ
  • Home 2
  • Homepage
  • Sample Page
  • আওয়ামী লীগ হচ্ছে প্রতিশ্রুতি ভঙ্গের দল: মির্জা ফখরুল
  • একুশ শতকের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় পারদর্শী সেনাবাহিনী গঠনের কার্যক্রম গ্রহণ করেছি: প্রধানমন্ত্রী
  • কঙ্গনার বিরুদ্ধে মামলা!
  • কানেই মুখ দেখাবেন ‘দেবী চৌধুরাণী’
  • দুইশও করতে পারলো না মাহমুদউল্লাহ একাদশ
  • নির্বাচন কমিশন ভোট বাতিলের ক্ষমতা হারায়নি: ইসি রাশেদা
  • পেঁয়াজ আমদানির অনুমতি দিতে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠি
  • স্টেডিয়ামে ঢুকতে গিয়ে পদদলিত হয়ে ১২ জনের মৃত্যু

Copyright © 2024 All rights reserved by Janatar Kontho.