বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ এবার নতুন এক পথে হাঁটছে। টানা ছয় বছর ফ্র্যাঞ্চাইজি পদ্ধতিতে হওয়ার পর বিসিবির মালিকানাতেই হচ্ছে সপ্তম প্রিমিয়ার লিগ। বঙ্গবন্ধু প্রিমিয়ার লিগ মাঠে গড়াবে ১১ ডিসেম্বর। এ উপলক্ষে গতকাল লোগো উন্মোচন করেছে বিসিবি। খেলোয়াড় তালিকাও দেওয়া হয়েছে কাল। একদিনের প্রস্তুতিতেই তাই আজ একটি পাঁচতারকা হোটেলে প্লেয়ার্স ড্রাফটের মাধ্যমে দল গড়ে নিচ্ছে দলগুলো। প্রথম দফায় কেউ নেয়নি ‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে থাকা মাশরাফি বিন মুর্তজাকে।
‘এ প্লাস’ ক্যাটাগরিতে জায়গা পেয়েছেন বর্তমানে দেশের ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় চার নাম মাশরাফি বিন মুর্তজা, তামিম ইকবাল, মুশফিকুর রহিম ও মাহমুদউল্লাহ। সংখ্যাটা নিশ্চিতভাবেই ৪ থেকে বেড়ে ৫ হতো, যদি না নিষেধাজ্ঞার কবলে পড়ে মাঠের বাইরে থাকতেন সাকিব আল হাসান।
এবারের বিপিএলেও অংশ নিতে যাচ্ছে সাতটি দল। সেগুলোর নাম দেওয়া হয়েছে যথাক্রমে ঢাকা প্লাটুন, চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স, রাজশাহী রয়্যালস, সিলেট থান্ডার, খুলনা টাইগার্স, রংপুর রেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স। এর মাঝে রংপুর রেঞ্জার্স ও কুমিল্লা ওয়ারিয়র্স বিসিবি কর্তৃক পরিচালিত হবে। বাকি দলগুলোর জন্য স্পনসর খুঁজে পেয়েছে বিসিবি।
প্লেয়ার্স ড্রাফটে লটারিতে সবার আগে সুযোগ পেয়েছে ঢাকা প্লাটুন। গত ফাইনালের নায়ক তামিমকে টেনে নিয়েছে তারা। এর আগে তামিম ইকবাল ২০১৭ থেকে কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানসে খেলেছেন। এর আগে ছিলেন দুই বছর চিটাগং ভাইকিংসে। মুশফিকুর রহিমকে নিয়েছে খুলনা টাইগার্স। মুশফিক গতবার চিটাগং ভাইকিংসে ছিলেন। এ ছাড়া রাজশাহী কিংস, বরিশাল বুলস, সিলেট সুপার স্টারস, সিলেট রয়্যালস, দুরন্ত রাজশাহীতেও খেলেছেন মুশফিক।
মাহমুদউল্লাহ ২০১৬ সাল থেকে খুলনা টাইটানসের অধিনায়কত্ব করেছেন। এবার তাঁকে খুলনা নয়, দেখা যাবে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সে। বাকি সাত দল সুযোগ পেয়েও মাশরাফি বিন মুর্তজাকে প্রথম দফায় নেয়নি। মাশরাফি ২০১৭ থেকে রংপুর রাইডার্সে খেলছেন।