রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক আদালতের রায় সব দেশ মানতে বাধ্য বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শেখ শাহরিয়ার আলম। তিনি বলেন, মিয়ানমার আইসিসি (আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত) বা আইসিজের (আন্তর্জাতিক বিচার আদালত) সদস্য হোক বা না হোক, অং সান সু চিসহ দেশটির ঊর্ধ্বতন ২০ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে রায় হলে তারা অন্য দেশে গেলে গ্রেফতার হবেন।
সোমবার (১৮ নভেম্বর) রাজধানীতে জাতীয় প্রেস ক্লাবের তফাজ্জল হোসেন মানিক মিয়া হলে দৈনিক ভোরের কাগজ আয়োজিত ‘আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের প্রয়োজনীয়তা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শাহরিয়ার আলম বলেন, ‘রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিশ্বের অনেক দেশে নিজেদের মধ্যেই দ্বন্দ্ব রয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবতাকে বড় করে দেখেছেন, তাই রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়েছেন। রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন হতেই হবে।’ তবে রাতারাতি এ সংকটের সমাধান হবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘আইসিসির নির্দেশ হওয়ার পর মিয়ানমার ছাড়াও অনেক দেশের ওপর চাপ সৃষ্টি হবে রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে। সবচেয়ে বড় কথা হলো ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও জাপানের প্রধানমন্ত্রী অং সান সু চিকে বলেছেন, রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন না হলে এ অঞ্চল অস্থিতিশীল হবে।’
আলোচনা সভায় দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. শাহ্ কামাল বলেন, ‘উখিয়া ও টেকনাফে আমাদের নিজস্ব লোক মাত্র সাড়ে ৪ লাখ আর রোহিঙ্গারা ১১ লাখ। এই সমস্যা এক দিনের না, এটা ৪১ বছরের সমস্যা। আমরা যদি ভাবি ৪১ বছরের সমস্যা এক দিনে সমাধান করবো, সেটা সম্ভব নয়। এজন্য আমাদের একটু ধৈর্য ধরতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের বন্ধু দেশগুলো যারা আমাদের সাহায্য করছে, তারা যদি প্রতিটি দেশ ৯ হাজার করে রোহিঙ্গা নেয়, তাহলে এই সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে।’
আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন সাবেক নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম সাখাওয়াত হোসেন, অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি শামসুদ্দিন চৌধুরী মানিক, সাবেক পররাষ্ট্র সচিব শমসের মবিন চৌধুরী, মেজর (অব.) এমদাদ, অভিবাসী বিশেষজ্ঞ আসিফ মুনির, সাবেক রাষ্ট্রদূত মোহাম্মদ জমির, দৈনিক ভোরের কাগজের সম্পাদক শ্যামল দত্ত প্রমুখ।