বাংলাদেশ দলের পাকিস্তান সফর নিয়ে তৈরি হওয়া ধোঁয়াশা এখনো কাটেনি। দুই বোর্ডই নিজেদের অবস্থান জানিয়েছে। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত এখনো আসেনি। তবে শেষ পর্যন্ত জাতীয় দলে গেলে পাকিস্তান সফরে যেতে রাজি আছেন বাংলাদেশের হেড কোচ রাসেল ডমিঙ্গো। গতকাল একান্ত সাক্ষাত্কারে নিজের অবস্থানের কথা জানিয়েছেন এই প্রোটিয়া কোচ।
পাকিস্তানে যাওয়া প্রসঙ্গে গতকাল রাসেল ডমিঙ্গো বলেছেন, ‘যদি দলকে যাওয়ার ছাড়পত্র দেওয়া হয়, তাহলে আমি যাব। যদি দলকে যাওয়ার ছাড়পত্র না দেওয়া হয়, তাহলে আমি অবশ্যই যাব না।’
তবে তার আগে বাংলাদেশ দল পাকিস্তান সফরে যাচ্ছে কি না, সেটা নিশ্চিত হতে চান এই কোচ। বিসিবি দল পাঠানোর চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরই আলোচনার টেবিলে বসতে চান ডমিঙ্গো। বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করবেন তিনি। প্রোটিয়া এই কোচ বলেছেন, ‘আমার মনে হয় সিদ্ধান্ত হওয়ার পর আমাদের আলোচনা করতে হবে। বোর্ডের সঙ্গে আমাদের আলোচনা করতে হবে। এবং তারপর কী হবে বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে।’
বাংলাদেশ দলের কোচিং স্টাফের অনেকেই পাকিস্তানে যেতে ইচ্ছুক নন, ডমিঙ্গোর কথায়ও সেই তথ্যের নিশ্চয়তা। গতকাল তিনি বলেছেন, ‘আমার মনে হয় কেউ কেউ যেতে আগ্রহী নয়; কিন্তু যদি আমাদেরকে যেতেই হয় তাহলে আমি যাব।’
গত ২৬ ডিসেম্বর বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন, বাংলাদেশের অনেক ক্রিকেটার-কোচ পাকিস্তান সফরে যেতে ইচ্ছুক নন। বিদেশি কোচদের বেশির ভাগই যেতে চান না পাকিস্তানে। এবং বিসিবিকে নিজেদের ইচ্ছার কথা স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন ঐসব বিদেশি কোচ।
তামিম-মুশফিকদের কোচদের সবাই বিদেশি। ব্যাটিং কোচ নিল ম্যাকেঞ্জি, স্পিন কোচ ড্যানিয়েল ভেট্টোরি, ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুক, স্ট্রেন্থ অ্যান্ড কন্ডিশনিং কোচ মারিও ভিল্লাভারায়ন, ফিজিও জুলিয়ান ক্যালেফাতো কাজ করছেন টাইগারদের সঙ্গে। সম্প্রতি বোলিং কোচের পদ থেকে পদত্যাগ করেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট।
এদিকে পাকিস্তান অনড় ছিল নিজেদের মাটিতে পুরো হোম সিরিজ আয়োজনে। শুধু টি-২০ নয় টেস্টও দেশের মাটিতে খেলতে চায় পাকিস্তান। হোম সিরিজ বাইরে খেলবে না তারা। অন্যদিকে বিসিবি থেকে বলা হয়েছে, আপাতত তিন টি-২০ খেলেই ফিরতে চায় বাংলাদেশ দল। পরে টেস্ট হোক নিরপেক্ষ ভেন্যুতে। তবে পাকিস্তানের মাটিতে টেস্ট খেলবে না বাংলাদেশ। তাছাড়া টি-২০ খেলতে যাওয়ার জন্য এখনো সরকারের ছাড়পত্র পায়নি বিসিবি, গত ২৬ ডিসেম্বর এমনটাই বলেছিলেন বিসিবি সভাপতি। নাজমুল হাসান পাপনের বক্তব্যের পর পাকিস্তানের অবস্থান জানা যায়নি এখনো।
অবশ্য বিসিবি সূত্রে জানা গেছে, প্রাথমিক সূচি অনুযায়ী বঙ্গবন্ধু বিপিএলের পরপরই পাকিস্তান সফরে যাওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। ২১ জানুয়ারি তামিম-লিটনদের পাকিস্তানগামী বিমানে চড়ার সূচি ঠিক হয়েছিল। বলা বাহুল্য, এখন আর সেই সূচি হয়তো ঠিক থাকছে না।