সৌদি আরবের ফুটবলপ্রেমীদের কাছে সবচেয়ে বড় আকর্ষণ ছিলেন লিওনেল মেসি। কিন্তু আজ জেদ্দা কিং আব্দুল্লাহ স্টেডিয়ামে স্প্যানিশ সুপার কাপের ফাইনালে দেখা যাবে না ফুটবলবিশ্বের সবচেয়ে বড় তারকাকে। ফাইনালের মোড়কে মাদ্রিদ ডার্বি দেখেই তৃপ্ত থাকতে হবে মধ্যপ্রাচ্যের দর্শকদের। তবে খেলা মাঠে গড়ানোর আগেই নাকি ফাইনালের ফলাফল জেনে গেছে মানুষ! ফাইনালে যে জিনেদিন জিদানের হারের কোনো নজির নেই! তার ভাগ্যেই নাকি আজ অ্যাথলেটিকোকে হারিয়ে সুপার কাপের শিরোপা জিতবে রিয়াল। এসব অবশ্য কুসংস্কার। আর কুসংস্কার পাত্তা দিতে রাজি নন অ্যাথলেটিকো বস দিয়েগো সিমিওনে। জিদানকে ফাইনালে পরাজয়ের স্বাদ দিতে উন্মুখ হয়ে আছেন তিনি।
২০১৬ সালে রিয়ালের দায়িত্ব নেওয়ার পর জিদানের অধীনে যত ফাইনাল খেলেছে রিয়াল, সব ক’টির শিরোপা জিতেছে তারা। এর মধ্যে তিনবার চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলে তিনবারই শিরোপা জয়। দু’বার ইউরোপিয়ান সুপার কাপের ফাইনাল খেলে দু’বারই শিরোপা জয়। ফিফা ক্লাব বিশ্বকাপের শিরোপাও দু’বার জিতেছেন। তিনি দায়িত্ব ছাড়ার পর রিয়াল কোনো শিরোপাই জিততে পারেনি। বেশ কঠিন সময়েই পড়ে গিয়েছিল রিয়াল। সে কঠিন সময় কাটিয়ে আবার সুদিন ফিরিয়ে আনার জন্যই দ্বিতীয় দফায় জিদানকে কোচ করে আনা। তিনি ফেরার পরও লা লিগায় স্বরূপে দেখা যাচ্ছে না রিয়ালকে। তবে সুপার কাপে জিদানের ফাইনাল-ভাগ্যকে পুঁজি করে শিরোপা জিততে চাইছে রিয়াল। জিদান অবশ্য এসব ভেবে নিজের ওপর কোনো চাপ নিতে চাইছেন না, ‘আরও একটি ফাইনালে খেলতে পারব বলে ভীষণ ভালো লাগছে। অবশ্য এই ম্যাচটার জন্যই আমরা এখানে এসেছি। এখন ফাইনালটা জিততে চাই।’
ভাগ্যের আলোচনা হলেও বেশ ছন্দে থেকেই ফাইনাল খেলতে নামবে রিয়াল। সেমিতে ভ্যালেন্সিয়াকে ৩-১ গোলে উড়িয়ে দেওয়ার আগে তারা গত ছয় ম্যাচ অপরাজিত। সেমি থেকে বার্সার ছিটকে যাওয়াটাও অনুপ্রেরণা জোগাতে পারে রিয়াল শিবিরকে। অ্যাথলেটিকোর কাছে ৩-২ গোলে হারের পর বেশ টালমাটাল হয়ে উঠেছে বার্সা শিবির। কোচ এর্নেস্তো ভালভার্দেকে বরখাস্তের দাবিও তুলেছে বার্সা ভক্তরা। এরই মধ্যে সাবেক গ্রেট জাভির সঙ্গে কথাও বলেছেন বার্সা কর্তারা। তবে বার্সার বিপক্ষে ওই জয়ে ভীষণ অনুপ্রাণিত অ্যাথলেটিকো শিবিরও। সেটা টের পাওয়া গেছে কোচ সিমিওনের কণ্ঠে, ‘ক্লাবের জন্য সেমিতে জেতাটা ছিল ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। আমরা বিশ্বের সেরা আক্রমণাত্মক দলকে হারিয়েছি। এ জয়টা ফাইনালের জন্য আমাদের আত্মবিশ্বাসী করে তুলেছে। আমাদের বিশ্বাস অনেক বেড়ে গেছে।’