করোনার কারণে পৃথিবীর অনেক কিছুই বদলে গেছে। কোনো কিছুই সময় মতো হয়নি, হচ্ছেও না। বাফুফের নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল ২০ এপ্রিল। কিন্তু কোভিড-১৯ মহামারির কারণে হয়নি। ফিফা জানিয়েছিল নিজেদের দেশের পরিস্থিতি বুঝে যেন দ্রুত সময়ে নির্বাচন সম্পন্ন হয়। জানিয়েছিল বর্তমান কমিটি কার্যক্রম চালিয়ে নেবে। ৯০ দিন পূর্ণ হয়েছে। আর ৩০ এপ্রিল ছিল বাফুফের চার বছর মেয়াদ পূর্ণ হওয়ার দিন। সেই হিসাবে আগামী ৩০ জুলাই বাফুফের বর্তমান কমিটির মেয়াদ পূর্ণ হবে। সাড়ে তিন মাস হতে চললেও বাফুফেও খুব সহসাই নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছে না। সংক্রমণের মধ্যেও দেশের দৈনন্দিন কার্যক্রম পুরোপুরি স্বাভাবিকভাবে না চললেও থেমে নেই। এখনো সংক্রমণের ভয় কাজ করছে বলে বাফুফের সিনিয়র সভাপতি আব্দুস সালাম মুর্শেদীর অভিমত। কবে নির্বাচন এমন প্রশ্নের জবাবও দেননি ফুটবলের সাবেক এই তারকা স্ট্রাইকার। কবে হবে নিজেও বুঝতে পারছেন না। বলছেন, ‘এটা বাফুফের নির্বাহী কমিটির সিদ্ধান্ত। আমি এখনই বলতে পারব না।’
বর্তমান পরিস্থিতিতে হুট করে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পক্ষে না বাফুফের এই সিনিয়র সহসভাপতি। করোনা নিয়ে সালাম মুর্শেদী বললেন, ‘পরিস্থিতি আগের চেয়ে ভালো হলেও মৃতের সংখ্যাটাও কম না। গড়ে প্রতিদিন ৪০ জন মারা যাচ্ছেন বলে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিদিনের সংবাদ সম্মেলনে জানতে পারছি। সামনে ঈদের ছুটি রয়েছে। ঈদের পর কী পরিস্থিতি হয় সেটাও দেখার বিষয়। কারণ ঈদে প্রচুর মুভমেন্ট হবে। কী অবস্থা হয় সেটা না দেখে আমরা কিছু বলতে পারব না। তবে আমরা ঈদের পর একটা মিটিং দেব। এটা আমার ব্যক্তিগত মতামত। আগস্টের প্রথম সপ্তাহে একটা মিটিংয়ের চিন্তা করছি আমরা। মিটিং হলে একটা পরিস্থিতিও বুঝতে পারব।’
সম্প্রতি যশোরে দুটি উপনির্বাচন হয়ে গেল। এ ধরনের নির্বাচনে ভোটারদের সংখ্যার চেয়ে বাফুফের ভোটারদের সংখ্যাটা খুবই কম। সালাম মুর্শেদী বললেন, ‘উপনির্বাচনের কথা যেটা বললেন। এখানে দুটো বিষয় রয়েছে। একটা হচ্ছে দেশের পলিসি ম্যাটার। অন্যটা হলো ফিফার ম্যাটার। দুটোই ভিন্ন এবং কারো সঙ্গে সম্পৃক্ত নয়। আমরা বাফুফের নির্বাচনের বিষয়য়ে কথা বলব ফিফার সঙ্গে। তারা যেভাবে গাইড লাইন দেবে আমরা সেভাবেই কাজ করব।’
তাহলে কি খুব সহসাই বাফুফের নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা হচ্ছে না? সালাম বললেন, ‘আমরা মনে করছি, ১০ দিন আগে বা ১০ দিন পরে নির্বাচন হলে কোনো সমস্যা হবে না। আমরা নির্বাচনের তারিখ দেয়ার জন্য মুখিয়ে রয়েছি। আপনাকে দেখতে হবে নির্বাচনের সময়টা বাস্তব সম্মত হচ্ছে কি না। কিন্তু দেশের পরিস্থিতি, সংক্রমণে আক্রান্ত মানুষের জীবন থমকে রয়েছে। আশা করি, ঈদের পরই আমরা বসতে পারব।’