গত কয়েক বছর আগে করদাতা শনাক্তকরণ নম্বর বা টিআইএন ব্যবস্থাপনাকে অনলাইনভিত্তিক করা হয়।৩০টির ওপরে সেবা নেওয়া কিংবা কাজ করার ক্ষেত্রে ই-টিআইএন বাধ্যতামূলক করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। এসব সেবা নেওয়ার ক্ষেত্রে এনবিআরের সার্ভারে রক্ষিত তথ্যভান্ডারে যাচাই করে যে কারো টিআইএন সঠিক রয়েছে কি না—তা যাচাই করার সুযোগ রয়েছে। তা সত্ত্বেও মোটরগাড়ির নিবন্ধন নেওয়ার ক্ষেত্রে এখনো ভুয়া টিআইএনের ব্যবহার হচ্ছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, টিআইএন ব্যবস্থা অনলাইনভিত্তিক হওয়া ও তা পরীক্ষা করা সহজ হওয়ার পরও গাড়ির নিবন্ধন ভুয়া টিআইএনের মাধ্যমে নেওয়া রীতিমতো বিস্ময়কর।
এ পরিস্থিতিতে করণীয় ঠিক করতে সম্প্রতি এনবিআর বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের নিয়ে বৈঠকে মিলিত হয়।এতে সভাপতিত্ব করেন এনবিআর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনীম। সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে, এ সময় ভুয়া টিআইএনে গাড়ির নিবন্ধনের ইস্যুটি উঠলে সভায় উপস্থিত বিআরটিএর কর্মকর্তারা এনবিআরের ওয়েবসাইট থেকে টিআইএন যাচাই করতে অসুবিধার কথা জানান। তবে বৈঠকে উপস্থিত এনবিআর সদস্য রঞ্জন কুমার ভৌমিক জানান, ইতিমধ্যে বিআরটিএকে টিআইএন যাচাইয়ের জন্য ৯টি আইডি ও পাসওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। ফলে বিআরটিএ সহজেই ভুয়া টিআইএন শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে পারে। এনবিআরের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, সদিচ্ছার অভাবে বিআরটিএ থেকে এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে না। এর পেছনে মূলত অনৈতিক আর্থিক লেনদেনের দিকে ইঙ্গিত করেন তিনি।
সূত্র জানায়, ঐ সভায় এনবিআর কর্তৃক বিআরটিএকে প্রদানকৃত আইডি ও পাসওয়ার্ডের মাধ্যমে টিআইএন যাচাই করার জন্য বলা হয়েছে। এক্ষেত্রে প্রয়োজন মনে করলে বিআরটিএর সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হবে। এছাড়া অগ্রিম আয়কর আদায়, ভুয়া টিআইএন যাচাই এবং গাড়ির মালিকদের সঠিকভাবে চিহ্নিত করার লক্ষ্যে একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। এনবিআরের সিস্টেম ম্যানেজার শফিকুর রহমানকে প্রধান করে গঠিত সাত সদস্যের ঐ কমিটি এ বিষয়ে একটি সুপারিশ দিবে। এর ভিত্তিতে পরবর্তী পদক্ষেপ নেওয়া হবে।