উয়েফা চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে করোনার নিয়ম ভেঙে ফাইনালে খেলা নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন পিএসজির প্রাণভোমরা নেইমার। তবে তিনি লাল কার্ড কিংবা হলুদ কার্ডের ঝামেলাতেও পড়েনি। খেলা শেষে প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়ের সঙ্গে জার্সি বদল করায় কাল হয়ে দাঁড়ায় নেইমারের জন্য। করোনায় এমন নিয়ম ভাঙায় এক ম্যাচে নিষেধাজ্ঞা পড়তে পারেন নেইমার। এমন গুঞ্জন ছিলো চারদিকে। তবে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা উয়েফা নিশ্চিত করেছে, নিয়ম ভাঙলেও নিষিদ্ধ করা হচ্ছে না নেইমারকে। ফলে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনাল খেলতে আর কোনো বাধা রইলো না ব্রাজিলিয়ান এই তারকার।
নেইমারের হাত ধরে ইতিহাসে প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে উঠেছে পিএসজি। তবে সেমিফাইনালে উয়েফার বেঁধে দেয়া নিয়ম ভেঙে বসেন ব্রাজিলিয়ান তারকা। করোনা ভাইরাস পরবর্তী ফুটবলে নিয়মনীতির যেসব পরিবর্তন এসেছে, তার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো, ম্যাচ শেষে জার্সি বদল করা যাবে না। যুগ যুগ ধরে ফুটবলাররা এই কাজ করে আসছেন। প্রতিপক্ষ খেলোয়াড়দের প্রতি সম্মান জানানোরও বিষয় জড়িয়ে থাকে এতে। তবে ভাইরাস ছড়াতে পারে এই শঙ্কায়, করোনা–পরবর্তী সময়ে জার্সি বদল করার এই প্রথাকে বাদ দেয়ার নির্দেশনা ছিল উয়েফার পক্ষ থেকে। কিন্তু সেটি অমান্য করে বসেন নেইমার।
তবে ১৪.৮ পয়েন্টের ২৫ পৃষ্ঠায় বলা হয়েছে, করোনা ভাইরাস মহামারীর কারণে ইউরোপীয় ফুটবল ইউনিয়নের প্রোটোকল অনুযায়ী, খেলোয়াড়দের তাদের জার্সি বিনিময় থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। যেহেতু এটি শুধুমাত্র একটি সুপারিশ, তাই নেইমারকে ফাইনালের জন্য নিষিদ্ধ করার হুমকি দেয়া হয়নি, ইংলিশ ট্যাবলয়েড মিডিয়ার সংবাদ অনুযায়ী এমনটাই জানানো হয়েছে। এছাড়া জার্সি বদল করা প্রতিপক্ষের খেলোয়াড় হ্যালস্টেনবার্গকেও কোন ধরনের শাস্তি পেতে হবে না।
সেমিফাইনালে লিপজিগের জার্মান ডিফেন্ডার মার্সেল হালস্টেনবার্গের সঙ্গে জার্সি বদল করেন নেইমার। উয়েফার নতুন নিয়মে বলা আছে, ম্যাচের পর জার্সি বদল করলে সংশ্লিষ্ট খেলোয়াড়কে এক ম্যাচ নিষিদ্ধ করা হবে। সঙ্গে আইসোলেশনে থাকতে হবে ১২ দিন। এমন নিয়মের বেড়াজালে পড়ে স্বপ্নের ফাইনালে খেলতে না পারার শঙ্কা জাগে নেইমারের।
তবে উয়েফা জানিয়েছে, নেইমারের জন্য এই শাস্তি কার্যকর হবেনা। এমনকি বিষয়টি তদন্তও করবেনা বলে জানিয়েছে ইউরোপিয়ান ফুটবলের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
কোয়ার্টার ফাইনাল এবং সেমিফাইনালে নিজে গোল পাননি নেইমার। তবে সতীর্থদের দিয়ে গোল করিয়েছেন। পুরো মাঠে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন। ফাইনাল ম্যাচেও ব্রাজিলিয়ান তারকার এমন পারফরম্যান্সই দেখতে চাইবেন পিএসজি কোচ থমাস টাচেল। আর সেটি হলেই যে গড়া হবে ইতিহাস। প্রথমবারের মতো উঁচিয়ে ধরা হবে স্বপ্নের চ্যাম্পিয়ন্স লিগ।