প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, বন্দি এসব মানুষের বেশিরভাগই নারী ও শিশু।
মঙ্গলবার জাতিসংঘের জেনেভা দপ্তর থেকে ইরাকে নিয়োজিত জাতিসংঘের ত্রাণ মিশন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর যৌথভাবে প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে। এতে আরো বলা হয়, কট্টর এই গোষ্ঠীটি ‘যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং সম্ভাব্য গণহত্যার মতো’ অপরাধ করেছে। নির্দিষ্টভাবে সংখ্যালঘুদের বিরুদ্ধেই এসব অপরাধ করা হয়েছে বলে প্রতিবেদনে বলা হয়। আইএস ইরাকের প্রতিবেশী দেশ সিরিয়ার বিশাল অংশও দখল করে রেখেছে।
প্রতিবেদনে ইরাকি নিরাপত্তা বাহিনীগুলো ও মিত্র কুর্দি পেশমেরগা যোদ্ধাদেরসহ অন্যান্য মিত্র গোষ্ঠীগুলোর বিরুদ্ধেও বেসামরিকদের হত্যা ও অপহরণের অভিযোগ আনা হয়েছে। এতে বলা হয়, “আইএসআইএল (আইএস) এর প্রতি সমর্থন বা গোষ্ঠীটির সঙ্গে সম্পর্কের অভিযোগ থাকা ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধ হিসেবে এসব ঘটনার কয়েকটি ঘটানো হয়ে থাকতে পারে।”
২০১৪ সালের জানুয়ারি থেকে ২০১৫ সালের অক্টোবর পর্যন্ত সহিংসতায় ইরাকে ১৮ হাজার ৮০২ জন বেসামরিক নিহত ও ৩৬ হাজার ২৪৫ জন আহত হয়েছেন বলে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
ইরাকে নিয়োজিত জাতিসংঘের ত্রাণ মিশন ও জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তরের হিসাবে চলমান সময়ে তিন হাজার ৫০০ মানুষে ‘বন্দি করে দাস হিসেবে ব্যবহার করছে’ আইএস।
“যারা বন্দি আছেন তাদের অধিকাংশই নারী ও শিশু। এরা প্রধানত ইয়াজিদি সম্প্রদায়ের মানুষ। কিন্তু এদের মধ্যে অন্যান্য নৃগোষ্ঠী ও ধর্মীয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নারী ও শিশুরাও আছেন।”
ইয়াজিদিরা উত্তর ইরাকের অমুসলিম একটি সম্প্রদায়, এদের ‘শয়তানের উপাসক’ হিসেবে বিবেচনা করে আইএস।
আইএস ২০১৪ সালে ইরাকের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের প্রধানত সুন্নি অধ্যুষিত এলাকাগুলো দখল করে নিয়েছে।