মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে চ্যারিটি ম্যাচ হলেও সেখানে দু-চার জন দর্শক থাকে; বাইরে কিছু মানুষের কোলাহল থাকে। কিন্তু এ যেন এক ভূতুড়ে পুরী।
স্টেডিয়ামের আশেপাশে ক্রিকেটের কোনো সাড়া শব্দ নেই, গেটগুলোতে কোনো ভিড় নেই এবং সর্বোপরি গ্যালারিতে নেই জনমানবের ছায়া। কেবল হাতে গোনা কয়েক জন সাংবাদিক, বিসিবি অফিসের দিকে কজন কর্মকর্তা এবং গ্রাউন্ডসম্যানদের সাক্ষী রেখে দেশের শীর্ষ তারকারা ক্রিকেট খেলে চলেছেন।
করোনায় এই বদলে যাওয়া পরিবেশে গতকাল দ্বিতীয় অনুশীলন ম্যাচ খেলতে নেমেছিলেন বাংলাদেশের ক্রিকেটাররা। প্রথম ম্যাচের মতোই এই ম্যাচটিরও প্রথম দিনটা তাসকিন আহমেদ আলোকিত করে রাখলেন।
তাসকিনের দুর্দান্ত বোলিংয়েই সারা দিনের বৃষ্টি বাধার পরও ২৪৮ রান তুলতে ৮ উইকেট হারিয়ে ফেলে ওটিস গিবসন একাদশ।
রায়ান কুক একাদশের বিপক্ষে আগে ব্যাট করছিল নাজমুল হাসান শান্তর গিবসন একাদশ। সকালে বৃষ্টিতে প্রায় ২০ মিনিট দেরি করে খেলা শুরু হয়। শুরু হতে না হতেই। মিরপুরের মরা উইকেটে ফাস্ট বোলিংয়ের ঝড় তোলেন তাসকিন। অধুনা দারুণ ফিট হয়ে ওঠা এই ফাস্ট বোলার নবম ওভারের মধ্যেই ফেরত পাঠান ওপেনার সাইফ হাসান ও তিন নম্বরে নামা শান্তকে। এরপর জুটি করার চেষ্টা করেন ইমরুল কায়েস ও মাহমুদউল্লাহ।
এই জুটি জমে ওঠার আগে আবারও নামে বৃষ্টি। এক ঘণ্টা পর খেলা শুরু হলে নিয়ন্ত্রণ অনেকটাই রিয়াদ-ইমরুলের কাছে চলে যায়। দুজনে ৮০ রান যোগ করেন। আর এই সময় তৃতীয় আঘাত করেন তাসকিন। তুলে নেন ইমরুলের উইকেট। ইমরুল ৯৩ বলে ৮টি চার ও একটি ছয়ে ৫৯ রান করেন। এরপর তাসকিন আর খুব বেশি বল গতকাল করেননি।
লিটনের সঙ্গে একটা জুটি হয়েছে রিয়াদের। রিয়াদ ১১৬ বলে ৫টি চারে সাজানো ৫৬ রান করে আউট হন। আর লিটন ৬৬ বলে করেন ৪৪ রান। শেষ দিকে এসে ইদানিং স্পিনার হয়ে ওঠা মিঠুন এই ম্যাচেও ২ উইকেট তুলে নেন। এ ছাড়া সাইফউদ্দিন, আল-আমিন ও তাইজুল একটি করে উইকেট নিয়েছেন।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
ওটিস গিবসন একাদশ: ৭২ ওভারে ২৪৮/৮ (ইমরুল ৫৯, মাহমুদউল্লাহ ৫৬, লিটন ৪৪, মোসাদ্দেক ২৯, সৌম্য ২৬; তাসকিন ৩/৪২, মিঠুন ২/১০, আল আমিন ১/৩৬, সাইফউদ্দিন ১/৪২, তাইজুল ১/৭৬)।