জুড়ীতে (মৌলভীবাজার) কমলা চাষের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। তবে ভালো যোগাযোগ ব্যবস্থা, সেচ সুবিধা না থাকা, উন্নত প্রযুক্তি, ভালো চারা ও কীটনাশকের অভাব ইত্যাদির কারণে কমলাচাষিরা পিছিয়ে রয়েছেন।
সম্প্রতি উপজেলার বিভিন্ন কমলা বাগান পরিদর্শনে জানা যায়, চলতি বছর জুড়ীতে ৯১ হেক্টর জমিতে কমলা চাষ হয়েছে। মৌসুমে বৃষ্টি শুরু হতে কিছুটা দেরি হওয়ায় এবার কমলার ফলন কিছুটা কম হয়েছে। প্রতিকূল পরিবেশে অর্থ, শ্রম আর ঘামে উত্পাদিত কমলার মূল্য পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় কৃষকরা।
দেশীয় কমলার পুষ্টিগুণ ও কমলাচাষিদের স্বার্থ রক্ষার্থে বিদেশি কমলা আমদানি দেড় মাস পিছানোর দাবি জানিয়ে কমলাচাষিরা বলেন, উন্নত যোগাযোগব্যবস্থা, সেচসহ প্রযুক্তিগত পর্যাপ্ত সুযোগ-সুবিধা ও সরকারের সহযোগিতা পেলে জুড়ী উপজেলাসহ বৃহত্তর সিলেটে উত্পাদিত কমলা দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশে রপ্তানির সুযোগ রয়েছে।
উপজেলার হায়াছড়া, লালছড়া, শুকনাছড়া, রুপাছড়া গ্রামের কমলাচাষি জয়নুল, মুর্শেদ, বাবুল আহমদ প্রমুখ বলেন, দেশীয় কমলা পরিপক্ক হয়ে বাজারজাত হবার আগেই বিদেশি কমলা দেশের বাজার দখল করে নেয়। এতে আমরা ব্যাপক ক্ষতির মুখে পড়ার আগে কিছুটা অপরিপক্ক থাকতেই কমলা বিক্রি করে দেই। যেগুলোর স্বাদ ও পুষ্টিগুণ থাকে না। জুড়ীতে কমলার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে, কিন্তু প্রযুক্তির দিক দিয়ে আমরা পিছিয়ে রয়েছি।
জুড়ী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন বলেন, বৃষ্টি হতে দেরি হওয়া এবং সেচ সুবিধা না থাকায় এবার ফল কিছু কম হয়েছে। নিয়মিত সহযোগিতা ছাড়াও ২০১৯-২০ অর্থ বছরে শুরু হওয়া লেবু জাতীয় ফসলের সম্প্রসারণ ব্যবস্থাপনা ও উত্পাদন বৃদ্ধি প্রকল্পের আওতায় কমলাচাষিরা উপকৃত হচ্ছেন।
জুড়ী উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা এম এ মোঈদ ফারুক বলেন, জুড়ীতে কমলার ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে। এখানকার কমলাচাষিরা বিভিন্ন সমস্যায় ভুগছেন। দ্রুততম সময়ে কমলাচাষিদের সমস্যা ও সম্ভাবনা বিষয়ে সেমিনারের আয়োজন করে পর্যায়ক্রমে তাদের সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করব।