নিজ দেশের খেলা বাদ দিয়ে সাকিব আল হাসান ভারতের আইপিএলে খেলতে যাওয়ায় নাখোশ বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। সোমবার (২২ ফেব্রুয়ারি) বোর্ড সভা শেষে গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন বোর্ড সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন।
বিসিবি সভাপতি জানান, শুধু সাকিব নয়, দেশের হয়ে কেউ খেলতে না চাইলে কাউকে জোর করা হবে না। এছাড়া এখন থেকে ক্রিকেটাররা চুক্তির সময় কে কোন ফরমেটে খেলতে চায় তা লিখিত নেওয়া হবে।
পাপনের ভাষায়, সাকিবের দেশের প্রতি নিবেদন নিয়ে প্রশ্ন তুলতে চাই না, আমি ধরে নিচ্ছি টেস্ট ক্রিকেট ওর পছন্দ না। এদের দিয়ে টেস্টে কিছু হবে না।
সম্প্রতি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সিরিজে হতাশাজনক পারফরমেন্সের পর ভেবেছিলাম, সবাই খেলার জন্য উন্মুখ থাকবে। অথচ এখন যদি কেউ এমন সিদ্ধান্ত নেয়, সেটা দুঃখজনক। সাকিব ৩ বছর আগেই টেস্ট খেলতে চায়নি।
সাকিবের এমন কাণ্ডে প্রকাশ্যেই হতাশা প্রকাশ করেন বিসিবি প্রধান। তিনি বলেন, ‘এখানে বিব্রত ঠিক না, মন খারাপ। একটা খেলোয়াড়দের পেছনে তো বোর্ড কম ইনভেস্ট করে না। সব কিছু মিলিয়ে এখনকার ক্রিকেটারদের যে ধরণের সুবিধা দেওয়া হয় সেটা তো অতীতে চিন্তাও করা যেত না।’
পাপনের মতে, ‘শুধু ওয়েস্ট ইন্ডিজ সিরিজ না, আমরা হেরেছি আফগানিস্তানের সাথে, আমরা হেরেছি পাকিস্তানের সাথে, আমরা ভারতের সাথে বাজেভাবে হেরেছি এবং ঘরের মাঠে দুটো টেস্ট হারলাম। এরপরে কেউ যদি বলে আমি টেস্ট খেলব না ফ্র্যাঞ্চাইজি খেলব, তাহলে এরপরে আর কিছু বলার থাকে না। আমাদের মাইন্ড ক্লিয়ার, কাউকে আমরা জোর করে রাখব না।”
সাকিব ইস্যুতে ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে অতীতের কথাও টেনে আনেন বিসিবি প্রধান। তবে তিনি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন কাউকে জোর করে খেলিয়ে আর সময় নষ্ট করতে চায় না বিসিবি।
বিসিবি প্রধান মনে করেন, ‘দেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে আজকের যারা ওয়ার্ল্ডের বেষ্ট ক্রিকেটার তাদের প্রথম ছয় বছরের গড় দেখেন! আমরা তো তখন বাদ দেইনি। তারপরেও আমরা তাদের সুযোগ দিয়েছি, সময় দিয়েছি, তারা আজকে এই জায়গায় এসেছে। যে সময়টায় তারা দেশের জন্য কিছু করবে এটা অবশ্য তাদের ইচ্ছে। বিশেষ করে আমরা টেস্টে জোর করে খেলাতে চাই না। আমরা আর সময় নষ্ট করতে চাই না।’
সম্প্রতি সাকিবের পুরনো দল কলকাতা নাইট রাইডার্স তাকে ৩ কোটি ২০ লাখ রুপিতে কিনে নেয়। আগামী এপ্রিল-মে মাসে আইপিএলের ১৪তম আসরে কলকাতার হয়ে মাঠে নামার কথা রয়েছে তার।