আর্থিক ব্যবস্থায় সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়ছে বলে উল্লেখ করেছে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ)। সম্প্রতি আর্থিক খাতের ক্রমবর্ধমান সাইবার হামলার ঝুঁকি নিয়ে ‘দ্য গ্লোবাল সাইবার থ্রেট’ শিরোনামে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সাইবার হামলার কারণে আর্থিক প্রতিষ্ঠান বড় আকারের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে, এটি প্রতিরোধে বিশ্ব সম্প্রদায়কে অবশ্যই একজোট হয়ে কাজ করতে হবে। প্রতিবেদনে ২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে বাংলাদেশের রিজার্ভ চুরির ঘটনার উল্লেখ করা হয়েছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকের ইতিহাসে সবচেয়ে বড় সাইবার হামলার ঘটনা সেটি। হ্যাকাররা যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল রিজার্ভ ব্যাংক অব নিউ ইয়র্কে রাখা বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভের ১০ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার চুরি করে। এর মধ্যে ফিলিপাইনে যাওয়া ৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার এখনো ফিরে পায়নি বাংলাদেশ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, করোনার মহামারির প্রভাবে অনলাইন আর্থিক পরিষেবার চাহিদা বেড়েছে এবং ঘরে বসে কাজ করার ব্যবস্থা নতুন স্বাভাবিক হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে—যা সাইবার হামলার ঝুঁকি বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া আগে কখনো অনলাইনে লেনদেন করেনি—এমন সব প্রতিষ্ঠান ও ব্যক্তি করোনায় অনলাইন লেনদেনের আওতায় এসেছে। হ্যাকারদের জন্য তারা সহজ শিকার। সাইবার হামলার মাধ্যমে কেবল অর্থ চুরির ঘটনা ঘটে এমনটা নয়—তথ্য চুরি, গুপ্তচরবৃত্তির মতো ঘটনাও ঘটছে। এমনকি আর্থিক ব্যবস্থাপনার শৃঙ্খলাও নষ্ট করে দিতে পারে হ্যাকাররা। উদ্ভাবন, প্রতিযোগিতা ও মহামারি ডিজিটাল বিপ্লব যত ত্বরান্বিত করছে, আর্থিক ব্যবস্থায় তত ঝুঁকির আশঙ্কা বাড়ছে। প্রতিবেদনে বলা হয়, সাইবার হামলা প্রতিরোধে প্রতিষ্ঠানগুলো নিজ নিজ নিরাপত্তা বিধান করছে, যা ঝুঁকির সাপেক্ষে যথেষ্ট না। বিভিন্ন দেশের সরকার, আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং আন্তর্জাতিক নিয়ন্ত্রক সংস্থা একজোট হয়ে সমন্বিত ব্যবস্থা নেওয়া প্রয়োজন।