প্রশ্নটা গত ২০ বছর ধরেই আন্তর্জাতিক মহলে উড়ে বেড়ায়। বাংলাদেশ কী শুধু খেলার জন্যই টেস্ট খেলে নাকি আসলেই টেস্টের মানসিকতা আছে? গতকাল মাত্র ৩৭ রানে সাত উইকেট হারিয়ে ফলো অনে পড়ার পর এই প্রশ্নটা আবার উঁকিঝুঁকি দিচ্ছে। এমন ধস নাহয় মেনে নেওয়াই গেলো কিন্তু সত্যিকারের মনোবল সম্পন্ন দল তো এমন পারফরম্যান্সের পরও ঘুরে দাঁড়ায়। টাইগাররা কি আজ উজ্জীবিত হয়ে শ্রীলঙ্কার লিড ৪০০ রানের আশেপাশে আটকে রাখতে পারবে? তারপর অন্তত তিন বা চার সেশন ব্যাট করে ম্যাচ ড্র বা জয় ছিনিয়ে আনবেন তামিম-মুমিনুলরা? এসব প্রশ্নের আংশিক উত্তর আজ পাওয়া যাবে, বাকিটা বোঝা যাবে কাল। তবে এই টেস্টে বাংলাদেশের অগ্নিপরীক্ষা শুরু আজই।
সাদা চোখে দেখলে বড় হারের শঙ্কা নিয়েই আজ পালেকেল্লেতে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে বাংলাদেশ। টাইগাররা ২৫১ রানে অলআউট হওয়ার পর ফলো অন না করিয়ে ফের ব্যাটিংয়ে নেমেছে শ্রীলঙ্কা। শেষ বিকেলে তাইজুল-মিরাজ একটি করে উইকেট তুলে নিলেও শ্রীলঙ্কার লিড এখনই ২৫৯ রান। দুই উইকেটে ১৭ রান নিয়ে চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করবে লঙ্কানরা।
আজসহ টেস্টের বাকি আর দুইদিন। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান এঞ্জেলো ম্যাথুস ও দিমুথ করুণারত্নের লক্ষ্য থাকবে যত দ্রুত সম্ভব লিড বাড়িয়ে ৪৫০ রানের আশেপাশে নিয়ে যাওয়া। ধারণা করা যাচ্ছে আজ চা-বিরতির আগে আগে ইনিংস ঘোষণা করবে শ্রীলঙ্কা। এতে করে রান তাড়ার জন্য বাংলাদেশের হাতে থাকবে পুরো পঞ্চম দিন ও আরো একটি সেশন। তবে প্রথম ইনিংসে আনকোরা এক স্পিনার প্রবীণ জয়াবিক্রমার সামনে যেভাবে ভেঙে পড়েছে টাইগাররা তাতে করে দ্বিতীয় ইনিংসে তারা চার সেশন ব্যাট করে ম্যাচ ড্র করবে বা জিতবে- এমন আশা করতে বুক কাঁপা স্বাভাবিক।
বাংলাদেশ দলের প্রধান কোচ রাসেল ডমিঙ্গো অবশ্য আত্মবিশ্বাসী। গতকাল দিনের খেলা শেষে তিনি বলেছেন, ‘আমরা কয়েক মাস আগেই অবিশ্বাস্য এক টেস্ট ম্যাচের অংশ ছিলাম। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৮৭ রান তাড়া করে জিতেছিল আমাদের বিপক্ষে। আমরা এখন পিছিয়ে আছি। অনেক চাপের মধ্যে আছি। তবে আমরা যদি কাল দ্রুত উইকেট নিতে পারি, তাদের ড্রেসিংরুমে যদি কিছু অস্বস্তি এনে দিতে পারি, তাহলে যেকোনো কিছুই হতে পারে। কেউ অবিশ্বাস্য ইনিংস খেলে ফেলতে পারে। আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে।’