দেশের জনপ্রিয় অভিনেত্রী সাদিকা পারভিন পপি। দির্ঘ্যদিন থেকে অভিনয়ে অনিয়মিত তিনি। কারো সঙ্গেই তার কোন ধরনের যোগাযোগ নেই। এমন কী পপি নিজে থেকেও কারো সঙ্গে যোগাযোগও করছেন না। আবার এমনও শোনা যাচ্ছে যে পপি বিয়ে করেছেন, তিনি মা হতে চলেছেন। বলা চলে বেশ কয়েক মাস ধরেই নিরুদ্দেশ জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত এই নায়িকা।
এছাড়া নানান মাধ্যমে তারসঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও তিনি সাড়া দিচ্ছেন না। তার ফেসবুক একাউন্টটি একটিভ থাকলেও সেখানে কোন আপডেটও নেই তার। তার আগের মোবাইল নাম্বার, হোয়াটসআপ কোনকিছুই আর একটিভ নেই।
কিন্তু পপি না থাকার কারণে আটকে আছে কয়েকটি সিনেমা। সাদেক সিদ্দিকী’র পরিচালনায় পপি সর্বশেষ যে সিনেমা পূর্ণাঙ্গভাবে শেষ করেছিলেন সেটি হলো ‘সাহসী যোদ্ধা’ পরবর্তীতে নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় ‘ডাইরেক্ট অ্যাটাক’।
পরিচালক সাদেক সিদ্দিকী বলেন, ‘এই সিনেমাটিতে পপিকে নিয়ে কাজ করাই ছিলো আমার চ্যালেঞ্জ। অনেক কষ্টে সিনেমাটি শেষ করেছি। পপি ডাবিংও করেছে। আশা করছি আগামী নভেম্বরে সিনেমাটি মুক্তি দেবো। মুক্তির সময়টাতে পপি থাকলে খুউব ভালো হতো। কারণ একটি সিনেমার প্রচারণার ক্ষেত্রে নায়িকার বিরাট ভূমিকা রয়েছে বলে আমি মনেকরি। তবে দোয়া করি পপি যেখানেই থাকুক যেভাবেই থাকুক ভালো থাকুক।’
পপি’কে নিয়ে রাজু আলীম শুরু করেছিলেন ‘প্রজাপতি’ নামের একটি সিনেমা। আমিরুল ইসলাম শোভা শুরু করেছিলেন ‘সেভ দ্য লাইফ’ এবং আরিফ শুরু করেছিলেন ‘শরৎচন্দ্র কাঠগড়ায়’। এছাড়াও আরো কয়েকটি সিনেমার কাজ শুরু হবার কথা। নির্মাতা অভিনতো হাসান জাহাঙ্গীরেরও পপিকে নিয়ে কয়েকটি নাটক নির্মাণের পরিকল্পনা ছিলো। কারণ বিশেষ বিশেষ দিবসে হাসান জাহাঙ্গীর পপিকে নিয়ে নাটক নির্মাণ করে থাকেন।
নারী প্রধান গল্পের সিনেমাতে অভিনয় করে পপি প্রশংসিত হয়েছেন। যারমধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে ‘দরিয়া পাড়ের দৌলতী’, ‘ডাকুরানী’, ‘গার্মেন্টস কন্যা’, ‘বস্তির রানী সুরিয়া’।
পপির ইচ্ছে ছিলো প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার চরিত্রে অভিনয় করার। পপি অবগত ছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোন একদেশে যাবার পথে বিমানে বসে পপি অভিনীত ‘রানী কুঠির বাকী ইতিহাস’ সিনেমাটি দেখে তার অভিনয়ের প্রশংসা করেছিলেন। একটি অনুষ্ঠানে এটিএম শামসুজ্জামানের সামনেই পপিকে সরাসরি তার অভিনয়ের প্রশংসা করেন প্রধানমন্ত্রী।