গত বছরই র্যাংকিংয়ের সেরা দশে আসায় আইসিসি উইমেন্স ওডিআই চ্যাম্পিয়নশিপে খেলা নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ জাতীয় নারী ক্রিকেট দল। তখনই আইসিসির একটা কাঠামোতে প্রবেশ করেন টাইগ্রেসরা। নিয়মিত খেলার পথ তৈরি হয়।
গত মার্চে ওয়ানডে বিশ্বকাপ খেলে আসার পর পাঁচ মাস আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বাইরে নারী ক্রিকেটাররা। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের এই লম্বা বিরতির যুগ হয়ে আসছে সালমা-জাহানারা আলমদের। নারী ক্রিকেট ইতিহাসে প্রথম বার ফিউচার ট্যুর প্রোগ্রাম (এফটিপি) ঘোষণা করেছে আইসিসি। ২০২২ সালের মে মাস থেকে ২০২৫ সালের এপ্রিল পর্যন্ত ১০টি দলকে নিয়ে এফটিপি চূড়ান্ত হয়েছে, যেখানে চারটি করে থাকছে হোম ও অ্যাওয়ে সিরিজ। এই চক্রে ১০ দল মিলে ৭ টেস্ট, ১৩৫ ওয়ানডে ও ১৫৯ টি-২০ ম্যাচ খেলবে।
এফটিপি অনুযায়ী বাংলাদেশ নারী দল তিন বছরে খেলবে ৫০টি ম্যাচ, যেখানে ২৪ ওয়ানডে ও ২৬ টি-২০ রয়েছে।
আগামী ডিসেম্বরে নিউজিল্যান্ড সফর দিয়ে এফটিপির সিরিজ শুরু করবেন বাংলাদেশের মেয়েরা। দেশের মাটিতে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, পাকিস্তান ও আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে খেলবে নারী দল। এর বাইরে নিউজিল্যান্ড, দক্ষিণ আফ্রিকা, শ্রীলঙ্কা ও ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর করবেন টাইগ্রেসরা। প্রতিটি সিরিজেই অন্তত তিনটি করে ওয়ানডে ও টি-২০ ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।
২০১১ সালের ২৬ নভেম্বর ওয়ানডে অভিষেক হয়েছিল বাংলাদেশের। গত ১১ বছরে বাংলাদেশ মাত্র ৪৯টি ওয়ানডে খেলেছে, টি-২০ খেলেছে ৭৯টি।
এফটিপির মাধ্যমে তাই খেলা বাড়তে যাচ্ছে অনেকাংশে, যা নিয়ে উচ্ছ্বসিত খোদ বিসিবির উইমেন্স উইং। এতদিন নারী দলের উন্নতির ধারাবাহিকতা রক্ষায় বড় অন্তরায় ছিল আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের বিরতি। এফটিপিতে অন্তভুর্ক্ত হওয়ার মাধ্যমে অনেক সিরিজ খেলার সুযোগ পাবে বাংলাদেশ দল।
বিসিবির উইমেন্স উইং চেয়ারম্যান শফিউল আলম চৌধুরী নাদেল গতকাল মঙ্গলবার বলেন, ‘আইসিসি নতুন এফটিপি ঘোষণা করেছে। আমাদের ম্যাচ আগের তুলনায় অনেক বেড়ে গেছে। তিন বছরে আমাদের ৫০ ম্যাচ। এটা আমাদের নারী ক্রিকেটের উন্নতিতে অনেক সাহায্য করবে। খেলার সংখ্যা অনেক বেড়ে গেছে। আমাদের আরো বেশি পরিশ্রম করতে হবে, পেশাদার হতে হবে।’
বিরতি কমে আসায়, খেলা বাড়ায় পরিকল্পনার বিকল্প দেখছেন না নাদেল। বিসিবির এই পরিচালক বলেন, ‘আগে তাও কিছু বিরতি ছিল, এখন এফটিপি হিসেবে বিরতি নাই। অনেক ব্যস্ততা। সার্বিকভাবে সবকিছু মিলিয়ে পরিকল্পনা করতে হবে।’