আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে মাঠে নামছেন আবৃত্তিশিল্পীরা। বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের ব্যানারে দেশব্যাপী চলবে ‘সম্প্রীতির সংগ্রামে আমরা’ নামে কর্মসূচি।
শুক্রবার (২ সেপ্টেম্বর) ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটির সাগর রুনি মিলনায়তনে এ উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে সংগঠনটি। সংবাদ সম্মেলনে তারা এসব কথা জানান।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক আহকাম উল্লাহ। এ সময় সংগঠনের সভাপতি সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব সাবেক মন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর এমপি উপস্থিত ছিলেন।
লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, আমরা দেখতে পাই, স্বাধীনতাবিরোধী চক্রের ছত্রছায়ায় ধর্মান্ধ উগ্রবাদী গোষ্ঠী মাঝে মাঝেই এদেশে মাথাচাড়া দেয়। বিশেষ করে, নির্বাচন সামনে এলে তাদের অপতৎপরতা বেড়ে যায়। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে পঁচাত্তরের ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করার মধ্য দিয়ে যে অপশক্তি মূলত বাংলাদেশকেই ধ্বংস করতে চেয়েছিল, সেই অপশক্তি নানা রূপে বারবার ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে।
সাম্প্রদায়িক সহিংসতার মতো ঘৃণ্য অপতৎপরতা চালায় তারা। হামলা, হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ নৃশংস ঘটনা ঘটতে দেখি সম্প্রীতি-সৌহার্দ্যের গৌরবময় ঐতিহ্যের বাংলাদেশে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও বলা হয়, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদ তার চেতনার জায়গা থেকে এ ধরনের ষড়যন্ত্র, চক্রান্তসহ বাংলাদেশবিরোধী সব অপতৎপরতার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায়। এরই ধারাবাহিকতায় ‘সম্প্রীতির সংগ্রামে আমরা’ শীর্ষক দেশব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করছি আমরা। কর্মসূচির স্লোগান: ‘বিশ্বমানব হবি যদি কায়মনে বাঙালি হ।’ এখন থেকে শুরু হয়ে অব্যাহত এই কর্মসূচি চলবে।
সংবাদ সম্মেলনে আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি আসাদুজ্জামান নূর বলেন, আগামী নির্বাচনকে কেন্দ্র করে আমরা এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছি। আমরা মানুষকে বোঝাতে চাই, যারা দেশের সংস্কৃতি ও স্বাধীনতার বিরুদ্ধে, তারা যেন মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে না পারে। স্বাধীনতার স্বপক্ষে শক্তিরাই যেন দেশের চালিকাশক্তি হন, আমরা শিল্পীরা তা মানুষের মাঝে তুলে ধরতে চাই।
রাজধানীসহ সারাদেশে ৩০০ এর বেশি আবৃত্তি সংগঠনের আয়োজনে কর্মসূচির মধ্যে থাকবে আবৃত্তি ও আলোচনা এবং সংস্কৃতির সব শাখার শিল্পী-কর্মীদের সংহতি পর্বসহ নানা আয়োজন।
এই কর্মসূচির লক্ষে সারাদেশে সব প্রজন্মের মানুষকে মুক্তিযুদ্ধের চেতনার আলোয় সম্প্রীতির বার্তায় উজ্জীবিত করা। উগ্র ধর্মান্ধ-সাম্প্রদায়িক গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে সামাজিক-সাংস্কৃতিক প্রতিরোধ গড়ে তোলা। সম্প্রীতির বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে সমাজের সব অংশের মানুষের মধ্যে সুদৃঢ় ঐক্য প্রতিষ্ঠা করা।