নারায়ণগঞ্জ, নেত্রকোনাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের ওপর আক্রমণের কঠোর সমালোচনা করেছেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্রের প্রতিষ্ঠাতা ও ট্রাস্টি ডা. জাফরুল্লাহ চৌধুরী। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতাদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আজকে যা হচ্ছে তা বাংলাদেশের ছবি নয়। অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাঠে নেমে প্রতিবাদ করা খোদা-ই বিধান। বেরিয়ে দেখুন, আপনাদের জয় সুনিশ্চিত।
শনিবার বিকালে রাজধানীর ধানমণ্ডিতে গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালের মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও জাতীয় পার্টির (একাংশ) চেয়ারম্যান প্রয়াত কাজী জাফর আহমদের ৭ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে সভার আয়োজন করে ভাসানী অনুসারী পরিষদ।
সংগঠনের আহ্বায়ক শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলুর সভাপতিত্বে ও হাবিবুর রহমান রিজুর পরিচালনায় আরও বক্তব্য দেন- জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দলের (জেএসডি) আ স ম আব্দুর রব, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না, গণসংহতি আন্দোলনের জোনায়েদ সাকী, গণঅধিকার পরিষদের নুরুল হক নূর, জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব কাজী নজরুল ইসলাম, ভাসানী অনুসারী পরিষদের আক্তার হোসেন প্রমুখ।
জাফরুল্লাহ চৌধুরী বলেন, আজকে পুলিশ অকারণে পেটাচ্ছে। তাদেরকে গুলি করার অধিকার কে দিয়েছে? আর বেশিদিন সময় নেই। গণতন্ত্র মঞ্চের নেতারা মাঠে নামুন।সরকার পালিয়ে যাওয়ার ভয়ে আছে।
আ স ম রব বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জে যুবদলের নেতা শাওনের লাশ প্রশাসন দিতে অস্বীকৃতি জানায়। যা আইয়ুব খানের শাসনামলকে স্মরণ করিয়ে দেয়।আজকে জনতার ওপর সশস্ত্র আক্রমণ করা হচ্ছে। কত রক্ত চান? রক্ত নিলে কিন্তু চলে যেতে হবে। ম্যাজিস্ট্রেটের অনুমতি নিয়ে গুলি করার নিয়ম। কিন্তু গুলির পরিস্থিতি কি তৈরি হয়েছিল?’
তিনি আরও বলেন, ‘বিদেশের সমর্থন নিয়ে ক্ষমতায় থাকার চেয়ে জনগণের কাছে আত্মসমর্পণ করা অনেক ভালো। সেটাই সম্মানজনক। বিদেশে যাচ্ছেন তিস্তা চুক্তি করবেন। সীমান্তে মানুষ হত্যা বন্ধের কথা বলবেন। না পারলে দেশে আসবেন না। আমরা মরতে হলে মরব দাবি আদায় করে ছাড়ব। আপনাদের থাকতে দেব না। দেশও ছাড়তে দেব না।’
মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, ‘যেভাবে দেশ চলছে তা চলতে পারে না। ওরা তস্কর, ভোট চোর, লুটেরা। আমরা ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াই করছি। ইনশাআল্লাহ, আমরা বাংলাদেশকে বদলে দিতে পারব।’
শেখ রফিকুল ইসলাম বাবলু বলেন, ‘আজকে দেশের অচলাবস্থা নিরসনে ও ভোটাধিকার আদায়ের লক্ষ্যে গণতন্ত্র মঞ্চ আন্দোলন করে যাচ্ছে। এবার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তন না হলে ভোটাধিকার আদায় করা যাবে না।’
জোনায়েদ সাকী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ দেশে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে। তারা মনে করেছে গদি ছাড়তে হবে না। তারা দেশকে ভীষণ ঝুঁকিপূর্ণ করে তুলেছে। তারা আবারো যেনতেন নির্বাচনের স্বপ্ন দেখছে। কিন্তু এবার তাদেরকে সেই সুযোগ দেওয়া হবে না।’
নুরুল হক নূর বলেন, ‘বাংলাদেশকে ছিনতাই হতে দেওয়া যাবে না। একটা থানায় কয়টা পুলিশ? যদি অন্যায়ভাবে কেউ আক্রমণ করে তাহলে মা-বোনদেরও প্রতিবাদ করতে হবে। যার যা আছে তাই নিয়ে প্রতিবাদ করতে হবে। আওয়ামী লীগ আজকে দেশে তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমরা সরকারের অধীনে নির্বাচনে যাব না। কারণ অতীতে তিনি প্রতারণা করেছেন।’