দেশের বাজারে চাল-ডাল, চিনি, মুরগি, ভোজ্যতেল, পেঁয়াজ-মরিচ, মাছ, শাক-সবজিসহ নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের মূল্যবৃদ্ধিতে ক্রেতাদের নাভিশ্বাস। বেশিরভাগ পণ্যই কিনতে হচ্ছে চড়া মূল্যে। সাধারণ মানুষ বাজারে গিয়ে পড়ছে অস্বস্তিতে।
শুক্রবার (৪ নভেম্বর) রাজধানীর কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, আলু বাদে বেশিরভাগ সবজিই এখন কিনতে হচ্ছে প্রতিকেজি ৬০ টাকার ওপরে। এর মধ্যে কয়েকটি সবজির দাম ১০০ থেকে ১৫০ টাকারও বেশি।
বেশকিছু সবজি কেজিতে ১০-২০ টাকা বেড়েছে। প্রকারভেদে পাতাকপি ও ফুলকপি বিক্রি হচ্ছে ৬০ টাকায়। শসা ৮০-৯০ টাকা কেজি। লম্বা বেগুন কেজিতে ৯০ টাকা, গোল বেগুন ১৩০ টাকা।
এছাড়া টমেটো বিক্রি হচ্ছে ১৬০ টাকা কেজি। শিমের কেজি ১২০-১৩০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। চাল কুমড়া ও লাউ আকারভেদে প্রতিটি ৬০-৭০ টাকা, মিষ্টি কুমড়া কেজিতে ৫০-৬০ টাকা, চিচিঙ্গা ৬০, পটল ৬০, পেঁপে ৫০-৬০, বরবটি ৮০, ঢেঁড়স ৬০-৭০, কচুর লতি ৮০ ও ধুন্দুল ৭০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
বাজারে আলুর কেজি বিক্রি হচ্ছে ৩০-৪০ টাকায়। দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়ে কেজিতে বিক্রি হচ্ছে ৫০-৬০ টাকা। রসুনের কেজি ৪০-৪৫ টাকা। চায়না রসুন বিক্রি হচ্ছে ১৪৫-১৫০ টাকা। আদা প্রকারভেদে ১১০-১২০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে।
কয়েকটি বাজারে দেখা গেছে, ব্রয়লার এখন প্রতি কেজি বিক্রি হচ্ছে ১৮০ টাকায়। সোনালী জাত ৩০০ টাকা আর দেশি মুরগি ৫০০ টাকায়। গরুর মাংস কেজিতে ৬৮০-৭০০ টাকা এবং খাসির মাংস ৮৫০-৯০০ টাকা।
এদিকে, গত ৩ দিনে মিল পযার্য়ে মোটা চাল ৫০ কেজির বস্তায় ৫০ থেকে ১০০ টাকা বেড়েছে। ফলে খুচরা বাজারে খোলা চালের দামও বেড়েছে ১ থেকে ২ টাকা।
বিআর-২৮ জাতের চাল ৫৮ থেকে ৬০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। প্রতি কেজি পায়জাম ও গুটি স্বর্ণা জাতের চাল ৫৩ থেকে ৫৬ টাকা।
গত ৩-৪ দিনে ডালের দামও কেজিতে ৫ থেকে ১০ টাকা বেড়েছে। প্রতি কেজি দেশি মশুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১২৫-১৩০ টাকা। আমদানি করা ডাল ১০০ থেকে ১০৫ টাকা।
অন্যদিকে, এক মাস আগে ভোজ্যতেলের দাম কমেছিল। এরই মধ্যে ফের কেজিতে ১৫ টাকা করে দাম বাড়ানোর জন্য বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব দিয়েছে ব্যবসায়ীরা। সেজন্য বেশিরভাগ দোকানে আগের নির্ধারিত দাম অনুযায়ী তেল পাওয়া যাচ্ছে না। প্রতি লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল ১৭৮ টাকা এবং খোলা সয়াবিন তেল ১৫৮ টাকায় বিক্রি হওয়ার কথা থাকলেও বেশি দরে বিক্রি হচ্ছে।