বাংলাদেশ-আয়ারল্যান্ড সিরিজ দিয়ে শেষ হয়েছে আইসিসি ওয়ানডে ক্রিকেট বিশ্বকাপের সুপার লিগ পর্ব। সুপার লিগে সর্বোচ্চ রান করেছেন পাকিস্তানের অধিনায়ক বাবর আজম। শীর্ষ রান সংগ্রাহকের তালিকা শীর্ষ দশের মধ্যে আছেন দুই বাংলাদেশি ব্যাটার। টাইগার অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও মুশফিকুর রহিম জায়গা করে নিয়েছেন এই তালিকায়।
সুপার লিগে ২১ ম্যাচের ২১ ইনিংসে ৬টি সেঞ্চুরি ও ৯টি হাফ-সেঞ্চুরিতে সর্বোচ্চ ১৪৫৪ রান করেছেন বাবর। তার ব্যাটিং গড়- ৭৬.৫২ ও স্ট্রাইক রেট- ৯৩.৮৬। সর্বোচ্চ ইনিংস ১৫৮ রান। ২০২১ সালের জুলাইয়ে বার্মিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৪টি চার ও ৪টি ছক্কায় ১৩৯ বলে ১৫৮ রানের ইনিংস খেলেছিলেন বাবর।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ রান আয়ারল্যান্ডের হ্যারি টেক্টরের। ২৪ ম্যাচের ২৪ ইনিংসে ৩টি সেঞ্চুরি ও ৭টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ১০৬২ রান করেন তিনি। বিশ্বকাপ সুপার লিগে বাবর ও টেক্টর ছাড়া আর কোন ব্যাটারই ১ হাজার রান করতে পারেননি। ২৩ ইনিংসে তৃতীয় সর্বোচ্চ ৯৯১ রান করেছেন আয়ারল্যান্ডের পল স্টার্লিং।
সুপার লিগে বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ রান করেছেন তামিম। ২৪ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি ও ৬টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭৮৩ রান নিয়ে তালিকায় সপ্তমস্থানে আছেন তামিম। তার ব্যাটিং গড়- ৩৪.০৪ ও স্ট্রাইক রেট- ৭৬.২৪। ২০২১ সালের জুলাইয়ে হারারেতে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ৯৭ বলে ১১২ রান তামিমের সর্বোচ্চ। ২১ ইনিংসে ১টি সেঞ্চুরি ও ৫টি হাফ-সেঞ্চুরিতে ৭৫৫ রান নিয়ে দশমস্থানে আছেন মুশফিক। ২০২১ সালের মে’তে মিরপুরে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১২৭ বলে সর্বোচ্চ ১২৫ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিক।
বিশ্বকাপ সুপার লিগে শীর্ষ দশ ব্যাটার:
ব্যাটার ম্যাচ ইনিংস রান ১০০ ৫০
বাবর আজম (পাকিস্তান) ২১ ২১ ১৪৫৪ ৬ ৯
হ্যারি টেক্টর (আয়ারল্যান্ড) ২৪ ২৪ ১০৬২ ৩ ৭
পল স্টার্লিং (আয়ারল্যান্ড) ২৩ ২৩ ৯৯১ ৪ ৩
শাই হোপ (ওয়েস্ট ইন্ডিজ) ২০ ২০ ৮৫৫ ৩ ৪
ফখর জামান (পাকিস্তান) ১৯ ১৯ ৮২৭ ৪ ২
ইমাম উল হক (পাকিস্তান) ১৯ ১৯ ৮২২ ২ ৮
তামিম ইকবাল (বাংলাদেশ) ২৪ ২৪ ৭৮৩ ১ ৬
স্কট এডওয়ার্ডস (নেদারল্যান্ডস) ২৪ ২৩ ৭৬৭ ০ ৮
টম লাথাম (নিউজিল্যান্ড) ২৩ ২০ ৭৫৯ ৩ ২
মুশফিকুর রহিম (বাংলাদেশ) ২১ ২০ ৭৫৫ ১ ৫