র্তমান সময়ে ছোট পর্দার বেশ দাপিয়ে বেড়ানো অভিনেত্রী সামিরা খান মাহি। সবাই মাহি নামে চিনলেও তার প্রকৃত নাম ফারজানা ইয়াসমিন কলি। পর্দায় চরিত্রকে জীবন্ত করে তুলতে অনন্য মাহি। দর্শকবন্দি হন তার সৌন্দর্য ও অভিনয় নৈপুণ্যের মায়ায়। মডেলিং দিয়ে শোবিজ অঙ্গনে পা রাখার পর একাধিক নাটক এবং ওয়েব সিরিজে অভিনয় করেছেন তিনি। শক্ত করে ধরে রেখেছেন নিজের অবস্থান। তাছাড়া মায়াবী এই অভিনেত্রী বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও করেছেন বেশ কিছু কাজ। সম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে নিজের জীবনের নানা বিষয়ে কথা বলেন অভিনেত্রী সামিরা মাহি।
সাক্ষাৎকারে তাট স্কিন কেয়ারের বিষয়ে জানতে চাইলে মাহি বলেন, ‘আমরা নাটকের অভিনেতারা সারা দিন রোদে থাকি। যতই স্কিন কেয়ার করি, দেখা যায় দিনশেষে সানট্যান হয়ে থাকে। সানট্যান থেকে আমাদের সবচেয়ে বেশি স্কিন ড্যামেজ হয়। সে জায়গা থেকে ওভাবে করে স্কিন কেয়ার করলেও আসলে কাজে দেয় না। কিন্তু আমি স্কিন কেয়ার করতে সবসময় চেষ্টা করি, যেহেতু আমি শোবিজে কাজ করি। আমার ইনার বিউটির সঙ্গে আউটার লুকটাও ইম্পরট্যান্ট।’ খাদ্যাভ্যাস নিয়ে তিনি বলেন, ‘খাবার-দাবারের ক্ষেত্রে আমি খুব আপসেট। যারা আমার সঙ্গে সেটে কাজ করে তারা জানে যে আমি সবসময় বাসা থেকে খাবার নিয়ে যাই। আমার মা আমাকে খাবার বানিয়ে দেয়। বাইরের খাবার আমার তেমন খাওয়া হয় না, মাঝেমধ্যে বা পরিবারের সঙ্গে ছাড়া। অধিকাংশ সময় আমি বাসার খাবারই খাই।’
জানতে চাওয়া হয় তার ঘুম প্রসঙ্গেও। এ বিষয়ে অভিনেত্রী বলেন, ‘ঘুম আসলে আর্টিস্টদের জন্য নয়। আপনারা জানেন যে আমরা শুটিং অনেক সকালে শুরু করি। টিভিসির ক্ষেত্রে সকাল ৫ থেকে ৬টার দিকে এবং নাটকের ক্ষেত্রে ৮টায় ঘুম থেকে উঠে সেটে যেতে হয়। অনেক সময় শুটিং অনেক রাত পর্যন্তও হয়। একেকদিন একেকরকম। কোনোদিন ৩ ঘণ্টা, কোনোদিন ৪ ঘণ্টা, সর্বোচ্চ ৬ ঘণ্টার মতো ঘুম হয়।’
নতুন বছর নিয়ে কি ভাবনা মাহির, এ বিষয়ে মায়াবী মাহি জানান, ‘২০২৪ সালের শুরুর দিকে একটু আপসেট ছিলাম। কারণ আমার কাছে মনে হয়েছে ২০২৩ এ আমি তেমন ভালো পারফরমেন্স করিনি। জানি না দর্শকের জায়গা থেকে কীভাবে নিয়েছে। কিন্তু শেষদিকে তো ভালোই হলো। সেভি বাংলাদেশের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসাডর হলাম। আশা করি ২০২৫ আরও ভালো হবে।’
জানতে চাওয়া হয় শীতের প্রসঙ্গেও। বিষয়টি নিয়ে মাহি বলেন, ‘আসলে শীতটা তো অনেক দ্রুত এসে চলে যায়। ঢাকাতে ওভাবে শীত তো তেমন পড়েই না, গরম অনেক বেশি পড়ে। শীত এলে আমরা এনজয়ই করি। কারণ অধিকাংশ সময় আমাদের রোদের মধ্যেই কাজ করতে হয় এবং মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। শীতের দিনে একটা দিক ভালো যে, মেকআপ নষ্ট হয় না। সেজন্য ভালো লাগে শুটিং করতে। আর কেন জানি না আমি এমনিতেই শীত পছন্দ করি।’ব্যস্ততা কাটিয়ে গ্রামে যাওয়া হয় কি না জানতে চাইলে বলেন, ‘ছোটবেলায় যখন বাবা-মায়ের সঙ্গে গ্রামে যেতাম তখন কুয়াশা, গ্রামের বাড়িতে খেজুরের রস এ ব্যাপারগুলো খুব কাছ থেকে দেখতাম। কিন্তু বড় হওয়ার পর ওভাবে আসলে যাওয়া হয় না। বিশেষ করে কাজের ব্যস্ততায় একদমই যাওয়া হয় না। সে জায়গা থেকে গ্রামের দিনগুলো মিস করি। সকাল বেলা ঘুম থেকে উঠে যতবার কুয়াশা দেখি, প্রতিবার মনে পড়ে আগে এরকম ভোর সকালে কুয়াশার মধ্যে বাবা গোসল করতে নিয়ে যেত।’