এক মাসের কঠোর চিকিৎসার পর অবশেষে ঢাকাস্থ ডায়াবেটিস হাসপাতালের দেওয়া আশ্বাসের বাইরে চলে গেলেন মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজের পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থী তাসনিয়া (১৫)। তাসনিয়া গত ২১ জুলাই ঢাকাস্থ উত্তরার দিয়াবাড়িতে মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে ঘটে যাওয়া বিমান দুর্ঘটনা ও বিস্ফোরণে গুরুতর দগ্ধ হয়ে ভর্তি হন। ওই ঘটনায় মোট ৩৬ জনের মৃত্যু হয়েছে, এবং এখনও দগ্ধ অনেক মানুষ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। ২৩ আগস্ট শনিবার সকাল ৭টা ৫৫ মিনিটে, জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে তার মৃত্যু হয়। তার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইনস্টিটিউটির আবাসিক সার্জন (ভারপ্রাপ্ত) ডা. সুলতান মাহমুদ সিকদার। তিনি জানিয়েছেন, বিস্ফোরণে তাসনিয়াকে শরীরের ৩৫ শতাংশ দগ্ধ হয়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি রাখা হয়েছিল, যেখানে আজ সকাল থেকেই চিকিৎসাধীন থাকা অবস্থায় তার মৃত্যু ঘটে। তাসনিয়ার বাবা মো. নাজমুল হোসেন বলেন, তার মেয়ে স্কুলে ৮ম শ্রেণিতে পড়ত। এই দুর্ঘটনায় মোট ২০ জনের মৃত্যু হয় বার্ন ইনস্টিটিউটে, এর মধ্যে ১৪ জনের চিকিৎসা এখন পর্যন্ত চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। আহতের সংখ্যা এখনো অনেক। ওই ঘটনায় বিমানবাহিনীর এফ-৭ বিজিআই মডেলের যুদ্ধবিমান দুর্ঘটনাগ্রস্ত হয়, যা ঢাকার উত্তরার দিয়াবাড়িতে অবস্থিত মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের হায়দার আলী ভবনে অবতরণ করে। এতে পাইলট ফ্লাইট লেফটেন্যান্ট মো. তৌকির ইসলামসহ বেশ কিছু জানমাল নষ্ট হয়। দুর্ঘটনার পর থেকে এখনও পর্যন্ত ৩৬ জনের মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে, এবং আরও অনেক মানুষ দগ্ধ অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে।