সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আলোচনায় উঠে এসেছে একটি অদ্ভুত পরিস্থিতি যেখানে বাংলার বিষয়বস্তু ও আন্তর্জাতিক সংযোগের একটি জটিল চিত্র ফুটে উঠেছে। পূর্ণিমা রানী শীল নামে এক যুবতী ফেসবুকে এক পোস্টে দাবি করেছেন যে, কুমিল্লার সাবেক এমপি আ ক ম বাহাউদ্দীন বাহার ও তার মেয়ে, কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র তাহসীন বাহার, লুকিয়ে কলকাতার রাজারহাট নিউটাউনে অবস্থান করছেন। বিশেষ করে, মোদির বিরুদ্ধে মিছিল করতে আসা এক ব্যক্তির সঙ্গে এই পরিবারের যোগসূত্র রয়েছে বলে তার অভিযোগ।
পূর্ণিমা রানী শীলের বিশ্লেষণে জানানো হয়, বাহার বাহাউদ্দীন বাহার বাংলাদেশের কূটনৈতিক ও স্বরাষ্ট্র সুবিধা ব্যবহারে সক্রিয়। তিনি বলেন, বাহার নিজের মেয়েকেও নিয়ে কলকাতায় আছেন, যা বিষয়টিকে আরও গভীর করে তুলেছে। তিনি আরও দ্যোতনা দেন, বাংলাদেশের হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর আগের হামলার পেছনে এই ব্যক্তির হাত রয়েছে। ২০২১ সালে দুর্গাপূজার মতো ঐতিহ্যবাহী উৎসবের সময়, বাহার বাহাউদ্দীন বাহার পুজো মণ্ডপে কোরআন রেখেছিলেন বলে অভিযোগ ওঠে, যা বাংলাদেশের ধর্মীয় সম্প্রীতি নষ্ট করেছে।
তিনি দাবি করেন, এখন তিনি লুকিয়ে আছেন কলকাতার রাজারহাট এলাকায়, যেখানে তিনি তার মেয়ের সঙ্গে রয়েছেন। এই পরিস্থিতিতে তিনি রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন এবং বলছেন, এই জঙ্গি ও ধর্মীয় উস্কানিকারীদের বিরুদ্ধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া উচিত।
পূর্ণিমা রানী আরও বলেন, হিন্দু সম্প্রদায়ের ওপর নানা ধরনের হামলা ও নিপীড়নের সংবাদ প্রতিদিন শোনা যায়, কিন্তু এই বিষয়গুলো সমাজের চোখ এড়াতে চায়। তিনি সরকারের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, এসব জঙ্কি ও উসকানিকারীদের দ্রুত চিহ্নিত করে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া জরুরি।
সংক্ষেপে, এই সমস্ত অভিযোগ ও প্রেসার, দেশের সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও জাতীয় নিরাপত্তার জন্য নতুন এক চ্যালেঞ্জ বলে মনে করা হচ্ছে।