জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে প্রকাশ পাওয়া নৈতিক স্খলনের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে নেওয়া সিদ্ধান্তের মাধ্যমে শুরু হয় এক দীর্ঘ সংশোধনী ও পুনর্বাসনের প্রক্রিয়া। বিষয়টি তদন্ত করে, তুষারের লিখিত জবাব ও সরবরাহকৃত আলামত বিশ্লেষণের পর, দলের নেতারা সিদ্ধান্ত নেন যে তাকে আবার সব সাংগঠনিক কার্যক্রমে ফিরিয়ে আনাই সুষ্ঠু ও সামঞ্জস্যপূর্ণ। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে, দুই মাসের বিরতির পর সারোয়ার তুষার আবার দলের অন্তর্ভুক্ত হন। শনিবার রাত সাড়ে ১১টায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এনসিপি এ সিদ্ধান্তের কথা নিশ্চিত করে।
উল্লেখ্য, ১৭ জুন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে একটি নারীর সঙ্গে সারোয়ার তুষারের কথোপকথনের অডিও ভাইরাল হয়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে তুষারকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয় এবং তিনি পাঁচ দিনের মধ্যে লিখিত ব্যাখ্যা জমা দেন। সেই সঙ্গে, বিষয়টি সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাকে দলীয় সব সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত থাকতে বলা হয়।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, দলের যুগ্ম আহ্বায়ক সারোয়ার তুষার নৈতিক স্খলনের অভিযোগে কারণ দর্শানোর নোটিশ পেয়ে, দপ্তর, আহ্বায়ক ও শৃঙ্খলা কমিটিকে তার জবাব প্রদান করেন। তার প্রেরিত জবাব ও আলামত বিশ্লেষণের পর, দলের নেতারা তদন্তের স্বার্থে, নারীর প্রতি সংবেদনশীলতা ও ন্যায্য বিচার নিশ্চিত করতে, তাঁকে দুই মাসের জন্য সাংগঠনিক কার্যক্রম থেকে বিরত রাখার সিদ্ধান্ত নেন।
এরপর, এনসিপি কর্তৃপক্ষ বোঝায় যে দেশের বিভিন্ন প্রোগ্রাম, যেমন জুলাই পদযাত্রা, জাতীয় ঐক্য কমিশনে দলের প্রতিনিধিদল, গণমাধ্যমে দলের অবস্থান তুলে ধরা ও নরসিংদীর পদযাত্রায় অংশগ্রহণের মতো বিষয়গুলোতে সারোয়ার তুষার উপস্থিত ছিলেন না।
সর্বশেষ, তদন্ত ও বিশ্লেষণের পর, এই দুই মাসের বিরতির মেয়াদ শেষ হলে তাঁকে আবার সাংগঠনিক কার্যক্রমে ফিরে আসার অনুমোদন দেওয়া হয়। ফলে, সারোয়ার তুষার পুনরায় দলের অংশ হয়ে যান, আর কারণ দর্শানোর নোটিশটি প্রত্যাহার করা হয়।