স্মৃতি আর কত সব সময়ের জন্য শ্রমসাধ্য, ১৯৯৯ সালে মুক্তি পেয়েছিল শাহরুখ খানের জনপ্রিয় সিনেমা ‘বাদশা’। এই সিনেমা ব্যাপক দর্শকপ্রিয়তা লাভ করে এবং ব্লকবাস্টার হিটের মর্যাদা অর্জন করে। ছবিতে শাহরুখ খানের পাশাপাশি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন টুইংকেল খান্না ও জনি লিভার। জনি লিভারকে এখানেই দেখা গিয়েছিল তার সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের পরিচয় দিয়ে, যেখানে তিনি তার বন্ধুসহকারী চরিত্রে অভিনয় করেন। তবে, এ সবের পিছনে রয়েছে এক অজানা কাহিনী, যা তার পেশাদারিত্বের আরেক দিক তুলে ধরেছে।
তারিখ ছিল ছবির শুটিং শুরু হওয়ার দিন। শুরুতেই দেখা গেল জনি লিভারকে পুরো সময়ই খুবই বিষাদগ্রস্ত ও গম্ভীর ভাবে থাকতে। তিনি খুবই দক্ষতার সঙ্গে তার চরিত্রটি ফুটিয়ে তুলেছেন, কিন্তু ক্যামেরা বন্ধ হওয়ার পরে গম্ভীর হয়ে পড়তেন। এই ঘটনা সবাইকে অবাক করেছিল।
‘বাদশা’ সিনেমার এক গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্ত হলো এর এন্ট্রি দৃশ্য। জনি লিভারকে তখন খুবই প্রাণবন্ত লাগছিল। কিন্তু পরিচালক আব্বাস মাস্তান লক্ষ্য করেছিলেন যে, শুটিং ছাড়া অন্য সময় তিনি বেশ মনখারাপ করে থাকেন। একদিন তিনি জনিকে জিজ্ঞেস করেন, কেন এভাবে মুখ ভার করে থাকো। তখন জনি লিভার জানান যে, তার বাবা বড় ধরনের একটি অপারেশনের জন্য প্রস্তুত হচ্ছেন, এ জন্য তিনি খুব চিন্তিত এবং মন খারাপ। তখন আব্বাস মাস্তান তাকে বলেন, যদি আগে জানান, তাহলে তারা শুটিং বাতিল করতেন।
জনি লিভার উত্তরে বলেছিলেন, তিনি জানতেন যে এই খবর জানালে শুটিং নষ্ট হতে পারে। কিন্তু তিনি চাননি যেন তার পারিবারিক বিষয়গুলো কাজের মাঝে বাধা সৃষ্টি করে। এই ঘটনা থেকেই বোঝা যায়, জনি লিভার কতখানি পেশাদার এবং কাজের প্রতি কতটা যত্নশীল ছিলেন।
শোটির অন্যদিকে আরও জানান যায় যে, এ ছবিতে অ্যাকশন তো ছিলই, সঙ্গে ছিল হাস্যরসও। এর ফলে এই সিনেমা audiences-এ খুব প্রশংসিত হয়। এই সিনেমার পরই বলিউডে ‘বাদশা’ উপাধি পান শাহরুখ খান।
আজকের খবর / বিএস