উখিয়ার রোহিঙ্গা ক্যাম্পে সেনা কর্মকর্তা পরিচয়ে প্রতারণার অভিযোগে এক যুবককে আটক করেছে পুলিশ। তার কাছ থেকে একটি কালো ওয়াকিটকি উদ্ধার করা হয়েছে। শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে কুতুপালং বাজার এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। আটক যুবক হলেন হলদিয়াপালং ইউনিয়নের পূর্ব পাতাবাড়ি এলাকার সলিমুল্লাহর ছেলে, আনোয়ার হোসেন ইউসুফ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, ক্যাম্পের ই-৬০ ব্লকের বাসিন্দা শামসুল ইকরাম তার পরিবারের অনুমতি ছাড়াই সোয়াইফ নামে এক তরুণীকে বিয়ে করেন। শামসুলের শ্বশুর বাড়ির লোকজন খেদেপরে তাকে জানান, আনোয়ার হোসেন সেনা কর্মকর্তা এবং তিনি তার মেয়েকে জোরপূর্বক বিয়ে করায় সে সাহায্য চান। এ সময় আনোয়ারের সুযোগ কাজে লাগিয়ে প্রতারণার ফাঁদ পাতেন বলে অভিযোগ ওঠে।
প্রতিবেদনে বলা হয়, আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে সেনা কর্মকর্তা বা আর্মি গোয়েন্দা সংস্থা ASU’র পরিচয় দিয়ে রোহিঙ্গা পরিবারের কাছ থেকে প্রতির Salish-বিচারের নামে অর্থ হাতিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেছেন। এর মধ্যে তিনি ১০ লাখ টাকা নগদ ও ৫ ভরি স্বর্ণ নিয়ে যাওয়ার জন্য নানা কৌশল অবলম্বন করেন।
স্থানীয়রা বলছেন, এই ধরনের প্রতারণা ক্যাম্পে আতঙ্ক সৃষ্টি করছে এবং ভবিষ্যতে আইনি সমস্যা তৈরি করতে পারে।
সেনাবাহিনীর একটি মুখপাত্র স্পষ্ট করে বলেছেন, সেনাবাহিনী শুধুমাত্র আইন-শৃঙ্খলা রক্ষা কাজে সহযোগিতা দেয়। কোনও ব্যক্তি যদি সেনা কর্মকর্তা বা গোয়েন্দার পরিচয় দিয়ে সালিশ বা অর্থ লেনদেন করে, তা প্রতারণামূলক। সেনাবাহিনীর কোনো সম্পৃক্ততা এখানে নেই, সুতরাং সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানানো হয়েছে।
উখিয়া থানার অফিসার ইনচার্জ জিয়াউল হক বলেন, আটক হওয়া ব্যক্তি ভুয়া সেনা পরিচয় দিয়ে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করছিল। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে এবং সকলকে সতর্ক থাকতে বলা হচ্ছে।
তিনি আরও জানান, তাঁর বিরুদ্ধে উখিয়া থানায় মামলা নং-৫৯ দায়ের করা হয়েছে এবং তাকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।
আজকের খবর