তিন বছরের মধ্যে দ্বিতীয়বার ভারতের ফুটবল সংস্থা আন্তর্জাতিক ফুটবল নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফিফা এবং এশিয়ান ফুটবল ফেডারেশনের (এএফসি) নিষেধাজ্ঞার মুখোমুখি হচ্ছে। ইতিমধ্যে, ফিফা ও এএফসি যৌথভাবে অল ইন্ডিয়া ফুটবল ফেডারেশনকে (এআইএফএফ) কড়া সতর্কতা পাঠিয়েছে। ফিফা জানিয়েছে, যদি তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ বন্ধ না হয় এবং আগামী ৩০ আগস্টের মধ্যে নতুন সংবিধান কার্যকর না করা হয়, তাহলে এআইএফএফ কঠোর শাস্তির সম্মুখীন হবে। কেন্দ্রীয় ফুটবল সংস্থার প্রেসিডেন্ট কল্যাণ চৌবে একটি চিঠির মাধ্যমে এই বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। এতে উল্লেখ করা হয়েছে, ২০১৭ সাল থেকে এফএফএর সংবিধান সংশোধনের কাজ এখনও সম্পূর্ণ হয়নি, এবং এর ফলে দেশের ফুটবল ভবিষ্যৎ নিয়ে uncertainty সৃষ্টি হয়েছে। ফিফা ও এএফসি জাতীয় সংবিধান সংক্রান্ত নিয়মকানুনের সাথে সামঞ্জস্য বজায় রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছে। বিশেষ করে, সরকারি সংস্থাসহ তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ এড়ানোর জন্য এআইএফএফকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে বলা হয়েছে। এই বিষয়টি নিয়ে আসন্ন সাধারণ সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। সংস্থার সতর্কতাটি সুপ্রিম কোর্টের কাছে পাঠানো হবে এবং কেন্দ্রের ক্রীড়া মন্ত্রণালয়কেও জানানো হবে, যাতে দ্রুত সিদ্ধান্ত নেওয়া যায়। উল্লেখ্য, ২০২২ সালের ১৬ আগস্ট ফেডারেশনটি নিষিদ্ধ করা হয়েছিল কারণ তখন সুপ্রিম কোর্টের নিযোজিত প্রশাসকদের কমিটি এফএফএর কাজকর্ম দেখছিল, যা ফিফার কাছ থেকে তৃতীয় পক্ষের হস্তক্ষেপ হিসেবে বিবেচিত হয়েছিল। কিছু দিন পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয় এবং এরপর নির্বাচনের মাধ্যমে কল্যাণ চৌবে সভাপতি নির্বাচিত হন।