শুক্রবার সিলেটে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশের বিপক্ষে নেদারল্যান্ডস খুবই আগ্রাসী শুরু করে। তাসকিন আহমেদ দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দেখিয়ে নেদারল্যান্ডসের ব্যাটসম্যানদের ব্যাপক কঠিন পরিস্থিতিতে ফেলেছেন। এই ডানহাতি পেসারকে মোকাবেলা করতে গিয়ে ডাচ ব্যাটাররা বেশ কষ্ট ভোগ করেন। মুস্তাফিজুর রহমানও অনবদ্য বল করে দলের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কোটা রাখেন। আজকের দিনটিতে মুস্তাফিজ ও তাসকিনের দুর্দান্ত বলের কারসাজিতে নেদারল্যান্ডস কোনভাবেই ১০০ প্লাস রানের বেশি সংগ্রহ করতে পারেনি।
নেদারল্যান্ডস প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নিয়ে সিলেট আন্তর্জাতিক স্টেডিয়ামে টস হেরে ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তেজা। বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ উইকেট শিকার করেন তাসকিন আহমেদ, ২৮ রান দিয়ে চারটি উইকেট নেওয়ার দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে।
অুজ্বজবার শুরুতেই লিটন দাস স্পিন আক্রমণে যান এবং শেখ মেহেদির হাতে নতুন বল তুলে দেন। প্রথম ওভারটি তিনি বেশ নিয়ন্ত্রণের সঙ্গে চালিয়ে যান। তবে এরপরই আবার পেসাররা আসরে নামান। শরিফুল ইসলাম দুটি চার হজম করেন, এরপরই লিটন দাস শরিফুলকে তুলে শর্টকন্ট্রোলে তাসকিনকে আক্রমণে আনেন। এই পরিবর্তনের ফলস্বরূপ, তাসকিন নিজের প্রথম বলেই দুর্দান্ত এক ব্রেকথ্রু সৃষ্টি করেন।
ম্যাচের চতুর্থ ওভারে তাসকিন ম্যাক্স ও’ডাউডের ক্যাচে উইকেট লাভ করেন, উনি ১৫ বলে ২৩ রান করেছিলেন। এরপর, আষ্টম ওভারে আবারও প্রথম বলেই উইকেট পান, এবার ভিক্রমজিত সিংকে। এই খাটো লেংথের বলের মাধ্যমে ভিক্রম লং অনে ধরা পড়ে যান।
আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি দলে প্রায় দুই বছর পর ফিরেছেন সাইফ হাসান। প্রথম ম্যাচ থেকেই তিনি দলে সুযোগ পেয়েছেন। বল হাতেও তাঁর পারফরম্যান্স নজরকাড়া, প্রথম ওভারেই সিরিজের প্রথম ম্যাচে ২ উইকেট তুলে নেন।
১০ম ওভারের চতুর্থ বলটি সাইফ দিয়ে জমাতে গিয়ে স্কট এডওয়ার্ডস প্যাডল সুইপ করেন। তবে ঠিকঠাক টাইমিং না হলে বল লং লেগে চলে যায়, জাকের আলি দারুণ ক্যাচ নেন। এই সাইফের উইকেটের পর, তেজা নিদামিনুরুকেও আউট করেন। এই ব্যাটার ২৬ রান করেন, তবে তিনি বড় স্কোর করতে পারেননি।
দুই বল পর একই ডেলিভারিতে তেজা নিদামিনুরুকেও ফেরান সাইফ। এরপর আর কোনো ব্যাপক প্রতিরোধ গড়তে পারেনি ডাচরা। নিয়মিত উইকেট হারানোর কারণে, ব্যাটিং সক্রিয় উইকেটে ২০ ওভারে তারা মাত্র ১৩৬ রান করতে সক্ষম হয়। ফলে, বাংলাদেশের সহজ জয় নিশ্চিত হয়।