সিলেট আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামে আজ শনিবার সন্ধ্যা ৬টায় অনুষ্ঠিত হবে বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যকার তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচ। আজ বিকাল সাড়ে চারটায় আনুষ্ঠানিক ট্রপি উন্মোচন করা হয়েছে, যা এশিয়া কাপের জন্য বাংলাদেশের শেষ সিরিজ। এই মুহূর্তে এই সিরিজটি টিমের জন্য গুরুত্বপূর্ণ কারণ তারা নিজেদের মাঠে ভালো পারফর্ম করে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে চায়।
এর আগে, মানে বুধবার সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছানো বাংলাদেশ দল, এরপর বিশ্রাম নিয়ে বিকেলেই সিলেটের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। দলটির প্রায় সবাই গা গরমের জন্য ফ্রিজবি খেলায় মেতে উঠেছিল, যা বেশিরভাগ ক্রিকেট দলই ফুটবল খেলে গা গরমের জন্য করে। তবে ডাচরা ইনজুরি এড়ানোর জন্য এই খেলায় অংশ নিয়েছিল।
অপর দিকে, বৃহস্পতিবার সকালে মুক্তির অভাবে সিলেটের আবহাওয়া খারাপ থাকায় বাংলাদেশের অনুশীলন সভ্যতা বন্ধ হয়ে যায়।
বাংলাদেশের জন্য এই সিরিজটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, কারণ এটি এশিয়া কাপের প্রস্তুতির অংশ। চলতি মাসে ভারতের বিরুদ্ধে তিনটি ওয়ানডে ও সমসংখ্যক টি-টোয়েন্টি সিরিজের কথা ছিল, কিন্তু ভারতের সরকারি অনুমতি না পাওয়ায় বিসিসিআই সেই সিরিজ স্থগিত করে। ফলে দেড় মাস ধরে বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক ম্যাচের অভাব হয়। এই পরিস্থিতিতে বিসিবি অন্য প্রতিপক্ষ খোঁজে, এবং বিসিবির আমন্ত্রণে এবার ডাচরা বাংলাদেশে এসে সিরিজ খেলছে।
এটি প্রথমবারের মতো বাংলাদেশ ও নেদারল্যান্ডসের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় সিরিজ, যেখানে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এখনও পর্যন্ত বাংলাদেশ পাঁচটি ম্যাচ খেলেছে। এর মধ্যে চারটিতে জয় পেয়েছে, আর একটিতে হেরেছে। ২০১২ সালে হেগে প্রথম ক্রিকেট ম্যাচে বাংলাদেশ ৯ উইকেটে জয় পেয়েছিল, এরপর ২০১২ সালে আবার হেরে যায়। তবে ২০১৬ সালে ধর্মশালায়, ২০২২ সালে হোবার্টে এবং ২০২৪ সালে কিংস্টনে বাংলাদেশেরই জয় হাসি ফুটিয়েছে।
ওয়ানডে ফরম্যাটে সেই তুলনায় বাংলাদেশ এখন পর্যন্ত নেদারল্যান্ডসের বিপক্ষে ৩ ম্যাচ খেলেছে, যেখানে দুটিতে হেরেছে। এর মধ্যে ২০২৩ বিশ্বকাপে হারের দাগ এখনও মনে আছে।
তবে সিলেটে ম্যাচ চলাকালে নিরাপত্তার সমস্যা নতুন করে আলোচনায় এসেছে। বিগত সময়গুলোতে দেখা গেছে, নিরাপত্তার চোখ ফাঁকি দিয়ে টিকেট ছাড়াই মাঠে ঢোকা আর টিকেট কালোবাজারির ঘটনা বেশ কয়েকবার ঘটেছে, যা মানসিক নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন তোলে। এই সিরিজে ডুর্বল টিকেট অনলাইনে বিক্রি হওয়ায় এখন সেই সুযোগ কম থাকবে বলে প্রত্যাশা।
বিসিবি এই সিরিজের জন্য অনেক পরিবর্তন ও উন্নত ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে এবং বিগত ভুলগুলো থেকে শিক্ষা নিয়ে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে কিছু প্রশ্ন এখনও রয়ে গেছে, সিরিজ শেষে সেগুলোর উত্তর পাওয়া যাবে।
আজকের ম্যাচ ও সিরিজের জন্য সকল অপেক্ষার পালা, দর্শক-প্রশিক্ষক ও দলের জন্য এটি নতুন সুরক্ষা ও সাফল্যের আশা।