সরকার হিমাগারে আলুর বিক্রয়মূল্য নির্ধারণ করে দিয়েছে, যেখানে প্রতিকেজি আলুর সর্বনিম্ন দাম হবে ২২ টাকা। এটি দিয়ে কৃষকদের ক্ষতির কিছুটা হলেও সমাধান করতে চাওয়া হচ্ছে। পাশাপাশি, সরকারের ঘোষণায় আগামী অক্টোবর থেকে নভেম্বরে ৫০ হাজার টন আলু কিনে হিমাগারে সংরক্ষণ করা হবে। এই উদ্যোগের মাধ্যমে বাজারে আলুর স্থিতিশীলতা বজায় রাখা এবং কৃষকের স্বার্থ রক্ষা করাই লক্ষ্য।
বুধবার (২৬ আগস্ট) কৃষি মন্ত্রণালয় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানায়। এতে বলা হয়, আলুর সাম্প্রতিক বাজারদর উৎপাদন খরচের সাথে তুলনা করলে দেখা যায়, কৃষকরা যথেষ্ট লাভ পাচ্ছেন না। এ কারণে, এক বিশেষ কমিটি গঠন করা হয় যাদের নির্দেশনা অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। কমিটির প্রধান ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব, অন্য সদস্যরা ছিলেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়, খাদ্য মন্ত্রণালয় এবং অর্থ বিভাগের প্রতিনিধিরা।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, হিমাগারে আলুর মূল্য নির্ধারিত হবে ২২ টাকা কেজি, যা কৃষক ও ব্যবসায়ীদের মাঝে স্থিতিশীলতা আনবে। এছাড়া, সরকারি উদ্যোগে আলু সংগ্রহের মাধ্যমে বাজারে সরবরাহ রয়েছে নিশ্চিত হবে এবং অতিরিক্ত চাহিদা হলে তা পুরোপুরি পূরণ করা সম্ভব হবে। এই উদ্যোগের ফলে বর্তমান উচ্চমূল্যের চাপ কমাতে এবং কৃষকের অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করতে অবদান রাখবে।