সিলেটের উইকেটে নেদারল্যান্ডসের জন্য লক্ষ্য নির্ধারণ করা হয়েছে ১৩৭ রানের। এই ম্যাচে বাংলাদেশের বোলাররা দুর্দান্ত পারফর্ম করেছেন, বিশেষ করে তাসকিন আহমেদ এবং মুস্তাফিজুর রহমান। নেদারল্যান্ডসের ব্যাটাররা খুব সহজে তাদের মার্শাল করতে পারেনি, কারণ বাংলাদেশের স্প্যানিশ বোলাররা প্রতিপক্ষের উপর আক্রমণ চালিয়েছেন।
নেদারল্যান্ডসের প্রথম ইনিংসে, তারা নির্ধারিত ২০ ওভারে ৮ উইকেট হারিয়ে ১৩৬ রান সংগ্রহ করে। দলের পক্ষ থেকে সর্বোচ্চ ২৬ রান করেন তেজা। বাংলাদেশের জন্য সর্বোচ্চ পারফরম্যান্স করেছেন তাসকিন আহমেদ, যিনি ২৮ রানে ৪ উইকেট লাভ করেন। এটি তার দুর্দান্ত একটি সাফল্য, যা ম্যাচের পরিচালনাকে সহজ করে তোলে।
খেলতে শুরু করার আগে সিলেটে টস হেরে ব্যাটিংয়ে নামে নেদারল্যান্ডস। শুরুতেই স্পিনার লিটন দাসকে বাধ্য করেন শেখ মেহেদি। তিনি প্রথম ওভারে বেশ নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেন। অপর প্রান্তে পেসাররা আক্রমণে আসেন। দ্বিতীয় ওভারে শরিফুল ইসলাম চারটি বাউন্ডারি হাঁকান।
এর পর, লিটন দাস শরিফুলকে সরিয়ে তাসকিন আহমেদকে আক্রমণে আনেন। তাসকিন বল হাতে আসার সঙ্গে সঙ্গে দৃশ্যমান সাফল্য অর্জন করেন। চতুর্থ ওভারে তার প্রথম বলেই শর্ট কভারে ক্যাচ আঁকড়ে করেন ম্যাক্স ও’ডাউড, যেখানে তিনি ১৫ বলে ২৩ রান করেন।
অষ্টম ওভারে আবারো নিজের প্রথম বলেই উইকেট তুলে নেন তাসকিন। তিনি ভিক্রমজিত সিংকে আউট করেন, যিনি লং অনে ধরা পড়েন। এই পর্ষদ্বাবসরে দলে ফিরে আসা সাইফ হাসান প্রথম ওভারেই ২ উইকিেট তুলে নেন। দুই বছর পর জাতীয় দলে ফিরে, তিনি নিজের প্রথম ওভারেই দারুণ পারফর্ম করে দেখান।
সাইফ হাসান ৭ বলে ১২ রান করেন। তবে ১০ম ওভারে স্কট এডওয়ার্ডসের কাছে প্যাডল সুইপ করে ক্যাচ দেন জাকের আলি। এরপর তেজা নিদামিনুরুকেও ফিরিয়ে দেন। দুজনের উইকেটে নেদারল্যান্ডসের আশা শেষ হয়ে যায়। ম্যাচের শেষে, তারা ৮৬ রানে ৫ উইকেট হারিয়ে খুব বেশি কিছু করতে পারেনি এবং ২০ ওভারে দেড়শ রানও করতে সক্ষম হয়নি।