নিয়ে দেখা গেছে, নব্বই দশকে ‘চাঁদের আলো’ সিনেমার মাধ্যমেই চলচ্চিত্র দুনিয়ায় পরিচিতি লাভ করেন শেখ নজরুল ইসলাম। তিনি একজন বহুমুখী প্রতিভাবান ব্যক্তি, যার মধ্যে ছিলেন চলচ্চিত্রের নির্মাতা, কাহিনীকার, সংলাপ রচয়িতা, চিত্রনাট্যকার, গীতিকার এবং অভিনেতা। দীর্ঘ দিন ধরে তিনি গুরুতর রোগে আক্রান্ত ছিলেন। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিত্সাধীন থেকে সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরে এসেছেন, তবে তার শারীরিক অবস্থা এখনও উদ্বেগের কারণ। এ তথ্য নিশ্চিত করেছে মোখাফেলার সমিতির যুগ্ম মহাসচিব কবিরুল ইসলাম রানা, যিনি জানিয়েছেন, কিছু দিন তিনি হাসপাতালে ছিলেন এবং তখন তার অবস্থা ছিল খুবই খারাপ। এখন তিনি বাস করছেন বসুন্ধরায় তার ছেলের সঙ্গে, আর তার খোঁজ রাখা চলমান রয়েছে।
শেখ নজরুলের চলচ্চিত্র ধারায় উল্লেখযোগ্য কাজের মধ্যে রয়েছে চাবুক (১৯৭৪), নদীর চাঁদ (১৯৭৯), এতিম (১৯৮০), নাগিন, মাসুম (১৯৮১), ঈদ মোবারক (১৯৮২), আশা (১৯৮৩), পরিবর্তন (১৯৮৪), নতুন পৃথিবী, দিদার (১৯৮৭), সালমা (১৯৮৮), বউ শ্বাশুড়ী, কসম (১৯৮৯), বিধাতা, স্ত্রীর পাওনা (১৯৯১), চাঁদের আলো (১৯৯২), চাঁদের হাসি (১৯৯৩), চক্রান্ত (১৯৯৬), সিংহ পুরুষ (১৯৯৮), সব খতম (২০০৩), দমন (২০০৫), জোছনার প্রেম (২০০৬), মা বড় না বউ বড় (২০০৯) প্রভৃতি।
সদ্য জন্ম নেওয়া সময়ের মধ্যে তিনি সিনেমায় নিজে অভিনয়ও করেছেন। ষাটের দশকে তিনি ‘সাত ভাই চম্পা’ ছবিতে অভিনয় করেন এবং লেট দ্যায়ার বি লাইট (অসমাপ্ত) ছবিতে জহির রায়হানের সহকারী হিসেবে কাজ করেন, যেখানে তিনি একটি চরিত্রে অভিনয়ও করেন।
নব্বই দশকের শুরুতে ‘চাঁদের আলো’ সিনেমার মাধ্যমে অনূরার মেয়ের মুক্তিকে চলচ্চিত্রে ব্রেক দেন। জন্ম নেওয়েন ১৯৩৫ সালের ৭ নভেম্বর নাটোরের কালিগঞ্জ থানার পিপরুল গ্রামে। তিনি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় এম এ ডিগ্রি অর্জন করে চলচ্চিত্রে পা রাখেন কাহিনীকার হিসেবে।
আজকের খবর/আত।