আফগানিস্তানে আবারও ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে, যা জাতির জন্য আরও ক্ষতির নির্দেশ করছে। মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) আঘাত হানা মাঝারি মাত্রার এই ভূমিকম্পের মাত্রা ছিল ৫.৫। এর ফলে ইতিমধ্যে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা জুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে, বিশেষ করে দুই দিন আগে ৬ মাত্রার শক্তিশালী ভূমিকম্পের পর আবার এই ঘটনা ঘটায় সাধারণ মানুষের মধ্যে ভীতি আরও বাড়ছে।
প্রাথমিক তথ্য অনুযায়ী, এই ভূমিকম্পে এখন পর্যন্ত কমপক্ষে ১ হাজার ৪১১ জনের মৃত্যু নিশ্চিত করা হয়েছে। তবে ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেক মানুষ এখনও আটকা থাকায় হতাহতের সংখ্যা আরও বাড়ার আশঙ্কা থাকছে। এ ছাড়া আহতের সংখ্যা দাঁড়িয়েছে প্রায় ৩ হাজার ১২৪ জন। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে প্রায় ৫ হাজার ৪০০ সাধারণ বাস ভবন।
ভূমিকম্পটি মাটির ১০ কিলোমিটার গভীরে আঘাত হানে যা আগে ঘটে যাওয়া ভূমিকম্পের সঙ্গে মিল রেখে বলছে স্থানীয় সময়। দুই দিন আগে ৬ মাত্রার ভূমিকম্পও একই গভীরতায় আঘাত হানি।
নতুন এই ভূমিকম্পের পর আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় উদ্ধার কাজ বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানিয়েছে সংবাদ সংস্থা রয়টার্স। এর ফলে পাহাড়ে ধসের ঘটনাও বৃদ্ধি পেয়েছে, যা পুনরায় সকাল বা সন্ধ্যার সময়ে উদ্ধার কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ করে তোলে।
একজন রয়টার্সের সাংবাদিক ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় গিয়ে দেখতে পান তুলনামূলক বেশিরভাগ বাড়িই ধ্বংস হয়ে গেছে বা ভেঙে পড়েছে। আগের ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত বেশ কিছু বাড়ি যেগুলো এখনও স্থিতিশীল ছিল, তারা দ্বিতীয় আঘাতে ধসে পড়েছে।
এই মুহূর্তে নিহতের সংখ্যা ১,৪১১ এর বেশি বলে নিশ্চিত হওয়া গেলেও, ঠিক কতজন এখনও জীবিত বা নিখোঁজ তা খুঁজে বের করতে কঠোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে উদ্ধারকারীরা। জীবিতদের সন্ধানে কাজ এখনও চলছে, কারণ ধ্বংসস্তূপের নিচে অনেকেই আটকা থাকতে পারেন।
আফগানিস্তানের এই প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে পরিস্থিতি আরও জটিল হয়ে উঠেছে, এবং স্থানীয় প্রশাসন এনডি ও আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলির সাহায্য নিয়ে দ্রুত উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছে।