আন্তর্জাতিক ফুটবল মহাকাব্য ব্লকবাস্টার হিসেবে এবার নিজের ক্যারিয়নে একটি স্মরণীয় অধ্যায় সম্পন্ন করলেন লিওনেল মেসি। ঘরের মাঠে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ ম্যাচে তিনি রাঙালেন নিজের জয়োৎসব। পুরো পরিবার নিয়ে উপস্থিত ছিলেন এস্তাদিও মনুমেন্তালে, দর্শকদের আপ্লুত করে চোখে পানি আনলেন নিজের আবেগে আবেগে। এ ম্যাচে জোড়া গোলের মাধ্যমে নিজের মাহাত্ম্য আবারও প্রমাণ করলেন অকাল অবসর গ্রহণের আগে। খেলার মধ্য দিয়ে নিজের বিশেষ মুহূর্তগুলোকে স্মরণীয় করে রেখে গেলেন বিশ্বনেতা হিসেবে গৌরবময় ক্যারিয়ার। পাশাপাশি, লাউতারো মার্টিনেজের এক গোলের সাহায্যে আর্জেন্টিনা ৩-০ ব্যবধানে ভেনেজুয়েলাকে পরাস্ত করে।
শুরু থেকেই ম্যাচে আর্জেন্টিনার জিরো থেকে এড়ানো ছিল কঠিন নয়। চতুর্থ মিনিটে ক্রিস্টিয়ান রোমেরোর হেডে গোলের সম্ভাবনা থাকলেও অফসাইডের জন্য বাতিল হয়। এরপর ২১ মিনিটে ভেনেজুয়েলার গোলরক্ষক রোমো দ্য মারাকাটিত শট রোখার চেষ্টা করলেও জয় পেলেন না। থাকে ৩৮ মিনিট, সেখানে লিয়েন্দ্রো পারেদেসের ড্রিবলিংয়ে বল পান হুলিয়ান আলভারেজ, যিনি মাঠের মাঝখানে এরিক গারসিয়াকে পাস দিয়ে বল বাড়ান মেসির জন্য। তার দীর্ঘ পা দিয়ে করা চিপ শট দিয়ে গোল করেন তিনি, যে গোলের ফলে আর্জেন্টিনা বিরতিতে ১-০ এগিয়ে যায়।
২য়ার্ধে রদ্রিগো ডি পলের সঙ্গে ক্রস পাসে শট নিয়েছিলেন মেসি, গোলরক্ষক রক্ষা করলেও আর্জেন্টিনার চাপ অব্যাহত ছিল। দ্বিতীয় গোল এলো বদলি খেলোয়াড় নিকো গঞ্জালেস ও লাউতারো মার্টিনেজের অবদানে। লাউতারো মার্টিনেজ বাঁ পায়ে ডি বক্সে ক্রস করে ২-০ গোল করেন। এরপর ৬৪ মিনিটে ফিনিশিংয়ে নিজের ১১৪তম গোল করে মেসি।
বিশ্বচ্যাম্পিয়নদের তিক্ত্য দৌড়ে ওই ম্যাচে বেশ কয়েকটি সুযোগ এস, তবে অফসাইডের কারণে সেটি কার্যকর হলো না। তবে নিজের জয় হিসেবে তিনি হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন তো দেখতেই পারেননি। তার প্রথম গোলের জন্য অপেক্ষা ছিল, যা শেষ পর্যন্ত তার গোলসংখ্যা ১১৪ এ পৌঁছে। নিজস্ব ম্যাটচের শেষে তিনি ভক্ত-সমর্থকদের মাঝে নিজের আবেগ শেয়ার করেন। এই ম্যাচের পর, কান্না ও হাসির মিশ্রণে তাঁর ব্যক্তিত্বের এক নতুন উপস্থাপনা দেখা গেল। বিশ্বব্যাপী ফুটবল প্রেমীদের জন্য এটি এক অনন্য স্মৃতি হয়ে থাকবে।