বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুৎ অ্যাসোসিয়েশন পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চলমান গণছুটি কর্মসূচি স্থগিত ঘোষণা করেছে এবং সমিতির সব কর্মকর্তা-কর্মচারীকে কর্মস্থলে যোগদানের আহ্বান জানিয়েছে। এই সিদ্ধান্তের বিষয়টি শুক্রবার (১২ সেপ্টেম্বর) এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, যেখানে বলা হয়েছে, দেশের গ্রামাঞ্চল ও শহরাঞ্চলে বিদ্যুৎ বিভ্রাট দূর করতে এবং মানসম্পন্ন ও নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের লক্ষ্যে একটি টেকসই বিদ্যুৎ বিতরণ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করার জন্য ২০২৪ সালের জানুয়ারি থেকে কঠোর আন্দোলন চালানো হচ্ছিল। দীর্ঘদিন ধরেই এই আন্দোলন চলাকালীন, সরকার বিভিন্ন কমিটি গঠলেও পল্লী বিদ্যুৎ অবকাঠামো ও পরিষেবার উন্নতির পরিবর্তে বিক্ষোভকারীদের দমন-পীড়ন ও অস্থিতিশীল পরিস্থিতির সৃষ্টি ঘটছে বলে অভিযোগ করেন অ্যাসোসিয়েশনের কর্মকর্তারা।
অ্যাসোসিয়েশনের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, গত দুই বছর ধরে চলে আসা আন্দোলনের জের ধরে ১৭২ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার মামলা করা হয়েছে। পাশাপাশি, বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা দীর্ঘদিনকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত, চাকরিচ্যুত ও বরখাস্ত হয়েছেন। সরবরাহ কমাতে বা বন্ধ করতে না হলেও নানা দমন-পীড়নের মাধ্যমে কর্মঘণ্টা কমানোর চেষ্টা চলেছে বলে অভিযোগ। ৩১ আগস্ট থেকে ৫ দিন ধরে শান্তিপূর্ণ অবস্থান কর্মসূচিও পালন করা হয়, কিন্তু তা কেউ সমাধানে সক্ষম হননি। অতঃপর, ৭ সেপ্টেম্বর থেকে গণছুটি কর্মসূচি ঘোষণা করতে হয়।
অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, প্রকৃতির সংগ্রাম ও কর্মীদের কঠোর পরিশ্রম সত্ত্বেও, তাদের সরবরাহে কোন সমস্যা হয়নি। স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণকারীদের সংখ্যা প্রায় ৩৩ হাজারে পৌঁছেছে, যদিও বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য উপকেন্দ্রগুলো চালু রাখা হয়েছে। সংগঠনের দাবি, বিভিন্ন অপতৎপরতা এবং বিভ্রান্তিকর তথ্যের মাধ্যমে সরকারের সাথে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করা হচ্ছে, যা তাদের উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নয়। শেষ পর্যন্ত, বিদ্যুৎ উপদেষ্টার আহ্বানে, আলোচনা ও সমঝোতার মাধ্যমে উদ্দিষ্ট সমস্যা সমাধানের প্রত্যাশায়, পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির চলমান গণছুটি কর্মসূচি স্থগিত করা হয়েছে। এ হারুনে আশ্বাস দেওয়া হয়, দ্রুত সব সমস্যার সমাধান হবে এবং দেশের জনগণের চাহিদা ও সুবিধার জন্য পরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। এই সিদ্ধান্ত দেশের জনগণের সুবিধা ও পরিস্থিতির উন্নয়নের লক্ষ্যে নেওয়া হয়েছে, যাতে করে বিদ্যুৎ পরিষেবা অব্যাহত থাকে এবং জনগণ দুর্ভোগে না পড়ে।