২০২৬ ফুটবল বিশ্বকাপের ম্যাচগুলো শুরু হতে এখনো বেশিরভাগ সময় বাকি থাকলেও ভক্তরা আগেভাগেই টিকিট পাওয়ার জন্য আবেদন শুরু করেছেন। এই আসরটি ইউএসএ, কানাডা ও মেক্সিকোতে জুন-জুলাই মাসে অনুষ্ঠিত হবে। গত ১০ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হওয়া এই প্রাথমিক আবেদন পরপর ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই দেড় মিলিয়নের বেশি আবেদন জমা হয়েছে, যা নিশ্চিত করেছে বিশ্ব ফুটবলের শাসক সংস্থা, ফিফা।
তথ্য থেকে জানা গেছে, সবচেয়ে বেশি আবেদন আসছে আয়োজক দেশগুলোর—যুক্তরাষ্ট্র, মেক্সিকো এবং কানাডার দর্শকদের কাছ থেকে। এরপরের অবস্থানে রয়েছে আর্জেন্টিনা, কলম্বিয়া, ব্রাজিল, ইংল্যান্ড, স্পেন, পর্তুগাল ও জার্মানির সমর্থকদের আবেদন।
ফিফার চিফ অপারেটিং অফিসার হেইমো শিরগি জানান, এত বিপুল সংখ্যক আবেদনই প্রমাণ করে যে, ২০২৬ বিশ্বকাপের ব্যাপারে পৃথিবীর ফুটবলপ্রেমীদের মধ্যে কতটা উত্তেজনা রয়েছে। তিনি আশা ব্যক্ত করেন, এটি হবে ফুটবল ইতিহাসে এক অনন্য মাইলফলক।
আবেদনটির জন্য শেষ সময় ১৯ সেপ্টেম্বর এবং তার পর বাছাই সম্পন্ন হলে ১৯ সেপ্টেম্বরের মধ্যে সব আবেদনকারীর ই-মেইল মাধ্যমে জানানো হবে। এরপর ১ অক্টোবর থেকে নির্দিষ্ট তারিখ ও সময় জন্য টিকিট অনলাইনে বিক্রি শুরু হবে। সরাসরি কিনে নেওয়ার সুযোগ থাকছে না। প্রথম ধাপ শেষ হওয়ার পরে যদি কিছু আসন ফাঁকা থাকে, তবে আবারও ওয়েবসাইটে টিকিট বিদ্যমান থাকলে জানানো হবে।
ফিফা ১৯ জুলাই, অর্থাৎ ফাইনাল ম্যাচের দিন পর্যন্ত এই টিকিটের বিক্রির সময়সীমা রেখেছে। টিকিটের জন্য আবেদন করতে হলে ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করে ফিফার ওয়েবসাইটে অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে হবে।
ভিসা প্রি-সেল ড্র সম্পূর্ণরূপে ফিফার নির্ধারিত নিয়মকানুন অনুসরণ করে হবে। আবেদনকারীর ন্যূনতম বয়স হতে হবে ১৮ বছর। সেইসঙ্গে গ্রুপ পর্বের টিকিটের দাম শুরু হবে মাত্র ৬০ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৭,৩০৭। এই মূল্যে প্রথমে ৬০ মার্কিন ডলার থেকে শুরু করে বিভিন্ন ক্যাটাগরির টিকিট পাওয়া যাবে, যার মধ্যে রয়েছে ম্যাচ–সুনির্দিষ্ট, ভেন্যু ভিত্তিক ও দল ভিত্তিক টিকিট।
আগামী ১১ জুন থেকে ১৯ জুলাই পর্যন্ত এই বিশ্বকাপের ৪৮টি দল অংশ নেবে। মোট ১৬টি ভেন্যুতে ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে, এর মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রে ১১টি, মেক্সিকোয় ৩টি এবং কানাডায় ২টি স্থান। ফিফার প্রত্যাশা, এই বিশ্বকাপে মোট ৬.৫ মিলিয়ন দর্শক উপস্থিত থাকবেন, যা বিপুল সমর্থক ও দর্শকসমাগমের একটা বড় সংখ্যাকে তুলে ধরে।