লন্ডনে মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় সরকার ও তাদের উপদেষ্টা পরিষদ যেন চুপ থাকতে রাজি নয়, এটি এখন স্পষ্ট। জাতীয় নাগরিক পার্টির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম মন্তব্য করেছেন, এক বিশ্লিষ্ট ফেসবুক পোস্টে তিনি বলছেন, সরকারের দৃষ্টিতে ওই হামলার সুরক্ষায় কোনো প্রতিবাদ ও জোরালো পদক্ষেপ দেখা যায়নি। এর ফলে মাহফুজ আলমের বিরুদ্ধে মৌন সম্মতি তৈরী হচ্ছে বলে মনে করেন তিনি।
নাহিদ ইসলাম লেখেন, লন্ডনে মাহফুজ আলমের ওপর হামলার চেষ্টা কেবল একা নয়, এর আগেও তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে হামলার কবলে পড়েছেন, অপমানিত হয়েছেন। বারবার এই পরিস্থিতি পুনরাবৃত্তি হচ্ছে, কারণ মাহফুজ আলম হচ্ছেন মূল লক্ষ্য। আগামী দিনে এই হামলার জন্য অন্যরাও ঝুঁকির মধ্যে পড়তে পারেন বলে তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করেন। তিনি উল্লেখ করেন, গোপালগঞ্জে ফ্যাসিস্টদের নৃশংসতা আমরা দেখেছি।
অতঃপর, নাহিদ ইসলাম আরও বলেন, যারা এই হামলার ঘটনায় মৌন সম্মতি দেয় বা গোপনে উৎসাহিত করে, তারা নিশ্চয়ই ভুগবে। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের বিভাজনের রাজনীতিই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে। মাহফুজ আলম গণঅভ্যুত্থানের পর অন্তর্ভুক্তি ও দায়িত্বশীলতার কথা বলছেন, যা বাংলাদেশে এখন আর দেখা যায় না। বরং, এই নামে নানা প্রতিক্রিয়াশীল ও প্রতিশোধমূলক রাজনীতি শুরু হয়েছে বিভিন্ন গ্রুপের দ্বারা, যা অবশেষে ফের ফ্যাসিবাদকে দাঁড় করাবে। সময়ই বলবে, মাহফুজ আলমই ছিল সঠিক পথের পথিক—যদি তাঁদের জীবিত থাকতে দেওয়া হয়।
নাহিদ আরও বলেন, মাহফুজ আলমের ওপর হামলার ঘটনায় কখনোই অন্তর্বর্তী সরকার শক্তভাবে কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। তারা কোনো শক্তিশালী বার্তা দেয়নি, কিংবা মিডিয়ার মাধ্যমে কোনো মন্তব্যও করেনি। সরকারের প্রবল গোপনীয়তা ও অসাড়তাই এই হামলার জন্য দায়ী। তিনি বলেন, সরকারের কতৃপক্ষ ও উপদেষ্টা পরিষদের ভিতরেও মাহফুজ আলমের প্রতি অপদস্ত ও হত্যার মৌন সম্মতি গড়ে উঠেছে। এই সরকার এবং তাদের উপদেষ্টারা মাহফুজদের অবিচ্ছিন্ন ব্যবহার করে যাচ্ছেন এবং তাদের মৃত্যু ও ক্ষতির দিকে ঠেলে দিচ্ছেন। এ পরিস্থিতি আমরা দীর্ঘদিন ধরে লক্ষ্য করে আসছি, এবং এর রাজনৈতিক পরিণতি কঠিন হতে পারে বলে হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
এই পরিস্থিতির জবাব সময়ই দেবে, বলেন নাহিদ ইসলাম।