দোহায় বিমান বাহিনীর হামলার নির্দেশ দিয়ে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন বলে অভিযোগ করেছে কাতার। গতকাল মঙ্গলবার দোহায় এক সংবাদ সম্মেলনে কাতার এই মন্তব্য করেন। ইসরায়েলের বাণিজ্যিক রাজধানী তেল আবিবে নেতানিয়াহু বলেন, কাতারের রাজধানী দোহার ওপর ইসরায়েলি বিমান হামলা বৃথা যায়নি; বরং এই হামলা কৌশলে একটি বার্তা পাঠানোর জন্য ছিল। তিনি আরো বলেছিলেন, এই হামলার মাধ্যমে ইসরায়েল একটি গুরুত্বপূর্ণ বার্তা পৌঁছানোর চেষ্টা করেছে।
তবে ইতোমধ্যে কাতার এই বক্তব্যের জবাবে জানিয়েছে, নেতানিয়াহুর এসব দাবি অসত্য এবং তিনি আন্তর্জাতিক আইনের গুরুতর লঙ্ঘন করেছেন। কাতার সরকারের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, “নেতানিয়াহু তার নীতির জন্য সবসময় ব্যর্থতা ঢাকতে চেষ্টা করেন। তার এই বার্তার প্রতিক্রিয়ায়, আমরা বলি— দোহায় বিমান হামলার নির্দেশ দিয়ে তিনি আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করেছেন এবং এজন্য শাস্তি এড়িয়ে যেতে পারবেন না।”
উল্লেখ্য, ২০১২ সাল থেকে কাতারে হামাসের শীর্ষ নেতাদের বসবাস করে আসছেন যুক্তরাষ্ট্রের সুপারিশে। ফিলিস্তিনের গাজায় চলমান ইসরায়েল-হামাস যুদ্ধের মধ্যস্থতার অংশ হিসেবে কাতার গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা পালন করে আসছে, যেখানে যুক্তরাষ্ট্র ও মিসরও মধ্যস্থতা করে থাকে।
প্রায়ই ইসরায়েলি হামলায় হামাসের শীর্ষ নেতারা নিহত হচ্ছেন। ২০২৫ সালের জুলাইয়ে ইরানে ইসরায়েলের হামলায় হামাসের রাজনৈতিক শীর্ষ নেতা ইসমাইল হানিয়া নিহত হন; এর ঠিক কয়েক মাস পর, ২০২৫ সালের অক্টোবরের মধ্যে গাজায় নিহত হন তার উত্তরসূরি ইয়াহিয়া সিনওয়ার। এর পর, হামাসের শীর্ষ নেতাদের হত্যার হুমকি দিয়ে গত ৯ সেপ্টেম্বর দোহার এক ভবনে ইসরায়েলি বিমান বাহিনী বোমা বর্ষণ করে। এই হামলায় ছয়জন নিহত হলেও খলিল আল হায়া ও অন্যান্য নেতারা প্রাণে বেঁচে যান। এই হামলায় বিশ্বের বেশির ভাগ দেশ ইসরায়েলের নিন্দা জানায়।
গাজায় যুদ্ধবিরতি ও কূটনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রসঙ্গে কাতারের মুখপাত্র মাজেদ আল আনসারি বলেন, “কাতার তার সার্বভৌমত্ব রক্ষা করতে, ইসরায়েলের বর্বরতা জবাব দিতে ও ভবিষ্যতে এমন হামলা এড়াতে প্রয়োজনীয় সব ব্যবস্থা গ্রহণ করছে। এ জন্য দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহিতার আওতায় আনতেই গুরুত্ব দিচ্ছে কাতার।
তিনি আরও যোগ করেন, “আমাদের এখন পদক্ষেপগুলি খুবই জরুরি, অন্য সব রাজনৈতিক বিবেচনা এখন গৌণ।”
স्रोत: আনাদোলু এজেন্সি
আজকের খবর / এমকে