গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার বরমী ইউনিয়নের বড়কুল গ্রামের এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের সন্তান এনামুল হক মোল্লা। তার পিতা একজন আলেম, মসজিদের ইমাম, খতিব ও সমাজের একজন সম্মানিত ব্যক্তিত্ব। মা ছিলেন আদর্শ একজন গৃহিণী। এই পরিবারের সামর্থ্য ও শিক্ষা বিশিষ্টতায় বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্ব গড়ে তুলেছেন তিনি। শৈশব থেকেই সততা, নৈতিকতা এবং মানবসেবার মূল্যবোধে বেড়ে উঠেছেন এনামুল হক মোল্লা। তার অগ্রগামী নেতৃত্বের গুণাবলী তার এলাকায় দ্রুত পরিচিতি লাভ করে। এক সময় তিনি বরমী ইউনিয়ন ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়াও তিনি বরমী ইউনিয়ন বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্বে থাকাকালে ব্যবসায়িক ও সামাজিক উন্নয়নেও অবদান রাখেন। তার দক্ষতা, সততা ও উদারতার জন্য এলাকার মানুষ তাকে খুবই পাশে মনে করেন। স্বৈরাচারী শাসনামলে তিনি একাধিকবার মিথ্যা মামলার শিকার হন এবং হামলার বুঝতে পারতেন কিন্তু তিনি কখনো সত্যের পথে নতি স্বীকার করেননি। স্বৈরাচার সরকারের অত্যাচারে তিনি সৌদি আরবে যান। সেখানে তিনি বিএনপির রাজনীতির সঙ্গে গভীরভাবে জড়িয়ে পড়েন। প্রবাস জীবনেও তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) কার্যক্রমে সক্রিয় থাকেন এবং দলের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেন। শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের আদর্শকে অনুসরণ করে সংগঠনের განვითარ ও সুসংগঠনের কাজ করেন। দেশে ফিরে এসে পর্যায়ক্রমে বিএনপির শক্তি বাড়ানোর জন্য মাঠে সক্রিয় হন। তার নেতৃত্বে তারেক রহমানের ৩১ দফা বাস্তবায়নের লক্ষ্য নিয়ে শ্রীপুরের বরমী ইউনিয়নসহ আশপাশের এলাকায় নিয়মিত কাজ চালিয়ে যাচ্ছেন। এনামুল হক মোল্লা বলেন, বিএনপি হলো সাধারণ মানুষের দল। দলের প্রতিষ্ঠাতা শহীদ জিয়াউর রহমান এই দেশের মানুষের জন্য গণতন্ত্র ফিরিয়ে এনেছিলেন। আজ তারেক রহমানের নেতৃত্বে আবারও বিএনপি দেশের মানুষের আস্থা অর্জন করবে এবং শক্তিশালী বাংলাদেশ গঠন করবে বলে বিশ্বাস ব্যক্ত করেন। স্থানীয়রা মনে করেন, এনামুল হক মোল্লা একজন আদর্শ ও সততা সম্পন্ন নেতা, যার নেতৃত্বে এলাকার উন্নয়ন হবে এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে নতুন আশা জেগেছে। তার সদা হাস্যোজ্জ্বল স্বভাব, মানবিকতা ও নিবেদিতপ্রাণ রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে শ্রীপুরের বরমী এলাকার মানুষ গর্বিত। এই তৃণমূল নেতা আবারও উন্নয়নের স্বপ্ন দেখাচ্ছেন।