মঙ্গলবার (১৬ সেপ্টেম্বর) ভোরে মাদারীপুরের শিবচর উপজেলার সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা বনশ্রী। তার মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ছোট ভাই মোহাম্মদ হারুন।
সিনেমার জগতে তিনি পরিচিত ছিলেন ‘সোহরাব রুস্তম’ সিনেমার জন্য, যার মাধ্যমে ১৯৯৪ সালে চলচ্চিত্রে অভিষেক ঘটে তার। এই সিনেমার পরিচালনা করেন মমতাজ আলী। প্রথম সিনেমায় তাঁর বিপরীতে ছিলেন তখনকার সুপারস্টার ইলিয়াস কাঞ্চন। একই বছর মুক্তি পায় তাঁর দ্বিতীয় ছবি ‘মহা ভূমিকম্প’, যেখানে তিনি মান্না ও আমিন খানের সঙ্গে নায়িকা হিসেবে অভিনয় করেন। এছাড়াও তিনি রুবেলসহ অন্যান্য অভিনেতাদের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেছেন। দ্রুত খ্যাতি পান বনশ্রী, কিন্তু হঠাৎ করেই তিনি অজানার কোথায় চলে যান। জনপ্রিয়তা হারানোর পর তিনি রাস্তায় ফুল বিক্রি করে জীবিকা চালাতে থাকেন। এক সময়ে তিনি রীতিমতো তারকাময় জীবন থেকে অন্ধকারে চলে যান এবং হতদরিদ্র হয়ে পড়েন।
করোনাভাইরাসের মহামারীর আগে থেকেই তিনি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির কাছ থেকে ত্রাণ গ্রহণ করে আসছিলেন। ২০১৭ সালে প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ত্রাণ তহবিল থেকে ২০ লাখ টাকা তুলে নেন বনশ্রী, যা তার জীবনে কিছুটা স্বস্তি আনে।
বনশ্রী জন্ম নিয়েছেন মাদারীপুরের শিবচর পৌরসভার গুয়াতলা এলাকার পরিবারে, তাঁর পিতার নাম মজিবর শিকদার এবং মাতার নাম সবুরজান রিনা বেগম। জন্মের পর তিনি সব হারিয়ে শিবচর উপজেলার মাদবরেরচর সরকারি আশ্রয়ণ কেন্দ্রে থাকছেন। আজকের খবর বাসের রিপোর্ট অনুযায়ী, তাঁর এই আকস্মিক মৃত্যুর খবরে অনেকে শোক প্রকাশ করেছেন।