বাংলাদেশ উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাউবি) টেন্ডার, পণ্য ও সেবা ক্রয় সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ আয়োজন করা হয়েছে, যা পিপিআর ২০০৮ ও পিপিএ ২০০৬ এর নীতিমালা অনুযায়ী পরিচালিত। আজ বুধবার গাজীপুরের বাউবির শিক্ষক সেমিনার হলে এই প্রশিক্ষণের আয়োজন করে ইনস্টিটিউশনাল কোয়ালিটি অ্যাসুরেন্স সেল (আইকিউএসি)।
প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন বাউবির ট্রেজারার অধ্যাপক ড. আবুল হাসনাত মোহা. শামীম। তিনি বলেন, যেখানে স্বচ্ছতা, সততা এবং ন্যায্যতা নেই, সেখানে দুর্নীতির শঙ্কা থাকে। একটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান কেবল জ্ঞান প্রদানের কেন্দ্র নয়, বরং একটি আদর্শ সমাজ গঠনের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এজন্য প্রতিটি আর্থিক লেনদেনে জবাবদিহিতা থাকা জরুরি। স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে ডিজিটাল পদ্ধতি, খোলা হিসাব প্রকাশ, যৌথ সিদ্ধান্তে কেনাকাটা এবং উন্মুক্ত টেন্ডার প্রক্রিয়া চালু করতে হবে। একই সঙ্গে, নীতিমালা লঙ্ঘন ও অপব্যবহার রোধের জন্য পিপিআর ২০০৮ এর ৭৬ ধারার অপপ্রয়োগ বন্ধ করাও প্রয়োজন।
প্রশিক্ষণে রিসোর্স পার্সন হিসেবে ছিলেন পাওয়ার গ্রিড বাংলাদেশ পিএলসির সহকারী ব্যবস্থাপক মোহাম্মদ আল-আমিন খান। তিনি পাবলিক প্রকিউরমেন্টের আইনি দিক, ক্রয় পরিকল্পনা, টেন্ডার ডকুমেন্ট প্রস্তুতি ও অনলাইনে ই-জিপি পরিচালনা বিষয়ক বিস্তারিত উপস্থাপনা প্রদান করেন।
অধিবেশনের সভাপতি ও আইকিউএসি’র পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম প্রশিক্ষণের উদ্বোধনী ও সমাপনী বক্তব্যে বলেন, এই প্রশিক্ষণে আমরা কেবল নীতি ও প্রক্রিয়া শিখছিই না, তা সঠিকভাবে বাস্তবায়নে পারদর্শতা অর্জন করব। সঠিক Procurement এর মাধ্যমে সঠিক বিনিয়োগ ঘটা সম্ভব, যা মানসম্পন্ন শিক্ষা ও গবেষণার পরিবেশ নিশ্চিত করে। অর্জিত জ্ঞান আমাদের প্রতিষ্ঠানকে আরো স্বচ্ছ, জবাবদিহিমূলক ও দক্ষ করে তুলবে।
এছাড়া, প্রশিক্ষণ কর্মসূচি উপস্থাপন করেন আইকিউএসি’র অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ জহির রায়হান। এই কর্মশশীতে বাউবিতে কর্মরত ৩০ জন শিক্ষক ও কর্মকর্তা টেন্ডার, কোটেশন ও প্রকিউরমেন্ট সংশ্লিষ্ট বিষয়গুলোতে অংশ নেন।