কুমিল্লার দেবীদ্বার উপজেলার স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের পাশে এক অর্ধগলিত নবজাতকের লাশ উদ্ধার হয়েছে। ঘটনাটি ঘটে শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের পশ্চিম পাশে বস্তির পাশের ড্রেনে।
স্থানীয় ফয়েজ আহমেদ নামের একজন যুবক জানিয়েছেন, তিনি জরুরি বিভাগে এক অসুস্থ রোগী নিয়ে আসার সময় পঁচা গন্ধ শুনতে পান। এ সময় কর্তব্যরত চিকিৎসক ও নার্সরা সাধারণ কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছিলেন, কিন্তু দুর্গন্ধের উৎস খুঁজতে গিয়ে দেখতে পান, জানালার পাশে ড্রেনে পড়ে থাকা অর্ধগলিত শিশুটির লাশ।
জরুরি বিভাগের রেজিস্টার করেন ডা. মো. আব্দুল্লাহ আল কাউছার বলেন, ‘প্রথমে দুর্গন্ধটা অনুভব করছিলাম। পরে একজন রোগীর স্বজনের মাধ্যমে জানলাম, নবজাতকের একটি গলিত লাশ ড্রেনে পড়ে আছে। এই খবর পেয়ে আমরা দ্রুত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষের অবহিত করি।’
ঘটনার খবর পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে যায়। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, এই হাসপাতালের পেছনের পরিত্যক্ত এলাকায়, আবাসিক এলাকার আশেপাশে, হাসপাতালের পশ্চিম পাশে পুকুর ও ড্রেনের মধ্যে সম্প্রতি অনেকবার নবজাতকের মরদেহ দেখা গেছে। এ নিয়ে একটি তদন্ত কমিটি গঠন হলেও সেই রিপোর্টের কোনো দৃশ্যমান অগ্রগতি এখন পর্যন্ত দেখা যায়নি।
দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সাবেক আবাসিক ডাক্তার মঞ্জুর রহমান জানিয়েছেন, ঘটনা তদন্তে পুলিশ ও সংশ্লিষ্টরা কাজ শুরু করেছেন। তিনি বলছিলেন, ‘গত ১ অক্টোবর থেকে বর্তমান পর্যন্ত ডেলিভারি রেজিস্টার পর্যালোচনা চলছে। তবে, রেজিস্টারে একটিও নবজাতকের উল্লেখ এই ধরনের রাখার জন্য উপযুক্ত নয়। হয়তো এটি অপগর্ভ বা অন্য কারণে হতে পারে।’
দেবীদ্বার থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. জামশেদুল আলম জানান, নবজাতকের লাশ দেখে মনে হয় শিশুটি সম্পূর্ণ ছিল এবং ধারণা করা হচ্ছে, শিশুটি ৩-৪ দিন আগে জন্মেছে। তিনি আরও বলেছেন, ‘ডেলিভারির রেজিস্টার ও প্রত্যক্ষ সাক্ষ্য ও সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণের পরই বিস্তারিত বলা সম্ভব হবে। তবে আপাতত এ বিষয়ে কিছু বলছি না।’
যোগাযোগ ও তদন্ত চলমান থাকায় এ বিষয়ে আরও তথ্য আসলে আপডেট করা হবে।