চট্টগ্রাম বন্দরে স্বাভাবিক কার্যক্রম আবার শুরু হয়েছে যানবাহন ও সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের পক্ষ থেকে মাশুলের বর্ধিত গেট পাস ফি স্থগিত করার সিদ্ধান্তের কারণে। রবিবার দুপুরে যানবাহনের গেট পাসের বর্ধিত ফি স্থগিতের ঘোষণা আসে, এর ফলস্বরূপ বিকেলেই সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের প্রবেশে একই ধরনের বর্ধিত ফি স্থগিত করা হয়। এর ফলে সোমবার (২০ অক্টোবর) সকাল ৯টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত কর্মবিরতিকে প্রত্যাহার করে নেওয়ায় সকাল থেকেই বন্দরটির কার্যক্রম স্বাভাবিক ভাবে চালু হয়। চট্টগ্রাম বন্দর সচিব মো. ওমর ফারুক বলেন, রবিবার দুপুরে পরিবহন মালিক ও শ্রমিক সংগঠনের সভায় যানবাহনের গেট পাসের বর্ধিত ফি স্থগিতের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিকেল পর্যন্ত ফি আর আদায় করা হয়নি। তিনি আরও জানান, সোমবার বন্দরে কোনো কর্মসূচি ছিল না; মূলত রবিবার বিকেল থেকে কার্যক্রম স্বাভাবিক হয়ে যায়। তিনি বলেন, বন্দরে পরিবহন চলাচল সীমিত ছিল, বিশেষ করে ট্রাক, কাভার্ডভ্যান, লরি ও ট্রেইলার শনিবার থেকে বন্ধ ছিল, ফলে পণ্য আমদানিও বন্ধ ছিল। বিষয়টি দেশের আমদানি-রপ্তানির সঙ্গে সম্পর্কিত, যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বন্দরের চেয়ারম্যানের সভাপতিত্বে শ্রমিক ও মালিক প্রতিনিধিদের সঙ্গে আলোচনা হয়, যাতে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা যায়। সরকারি অনুমোদিত গেজেট অনুযায়ী বন্দরের দফতর দ্রুত পরিবর্তন বা বন্ধ করতে পারে না, তবে সুবিধাজনকভাবে পরিবহন শ্রমিকদের দাবি বিবেচনা করে বর্ধিত গেট পাস ফি পরবর্তী সিদ্ধান্ত না হওয়া পর্যন্ত স্থগিত রাখতে বলা হয়। দেশ’s প্রধান সমুদ্রবন্দর হিসেবে বহুল ব্যবহৃত চট্টগ্রাম বন্দরে ভারী গাড়ি প্রবেশের ফি ৫৭ টাকা থেকে বাড়িয়ে ২৩০ টাকা করার কারণে কনটেইনার পরিবহন ট্রাক ও ট্রেইলার মালিকরা কাজ বন্ধ করে দেন। এসব ব্যক্তিগত মালিকানা ট্রেইলাররা আন্তঃজেলা রুটে কনটেইনার পরিবহন করে থাকেন, যাঁদের মধ্যে ট্রাক ও কাভার্ডভ্যান শ্রমিকরাও রয়েছেন। অন্যদিকে, সিঅ্যান্ডএফ কর্মচারীদের প্রবেশ ফি ১০ টাকা থেকে ১১৫ (ভ্যাটসহ) টাকা বাড়ানোয় তারা চার ঘণ্টা করে কর্মবিরতি পালন করে আসছিলেন। রবিবারের বৈঠকের পরে তারাও কর্মসূচি প্রত্যাহার করে নেয়। সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট এমপ্লয়িজ ইউনিয়নের ক্রীড়া ও সংস্কৃতি সম্পাদকের মতে, গেটপাস ফি বৃদ্ধির কারণে তারা কর্মবিরতি পালন করেছিল, যা রবিবার শেষ হয়। উনি জানান, বন্দর সচিবের সঙ্গে বৈঠকের পর এ কর্মসূচি প্রত্যাহার করা হয় এবং রাতেই কার্যক্রম চালু হয়।