আজকের ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদ ও বার্সেলোনা মধ্যকার প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছিল অনেকটাই উত্তেজনাপূর্ণ ও নাটকিয়। শিরোপাহীন মৌসুমে কিছুটা ক্ষত লুকানোর জন্য এই ম্যাচে জয়ের জন্য উচিৎ ছিল উভয় দলের জন্য, তবে শেষ পর্যন্ত রিয়াল ২-১ ব্যবধানে বার্সেলোনাকে হারিয়ে দিয়েছে। এই জয়ে মৌসুমের প্রথম এল ক্লাসিকোতে অবশ্যই কিছু নিয়মের ভেজাল ছিল, যেখানে কিলিয়ান এমবাপের পেনাল্টি মিস এবং অফসাইডের কারণে দুটি গোল বাতিল হয়, যার ফলে জয়ের ব্যবধান আরও বড় হতে পারত। ম্যাচের প্রথমার্ধেই নির্ধারিত হয় ম্যাচের ফলাফল, যেখানে রিয়ালের পক্ষে গোল করেন এমবাপে ও জুড বেলিংহাম, আর বার্সার হয়ে এক গোল করেন ফারমিন লোপেজ। দ্বিতীয়ার্ধের শেষ দিকে বার্সেলোনার পেদ্রি দ্বিতীয় হলুদ কার্ড দেখে মাঠ ছাড়তে বাধ্য হয়, যার ফলে ম্যাচের উত্তেজনা আরও বৃদ্ধি পায়। ম্যাচ শুরুর আগে বার্সেলোনার জন্য বেশ বোঝা ছিল — চোটের কারণে রাফিনিয়া, লেভান্ডফস্কি ও গাভি দলের বাইরে ছিলেন, তবে তাদের কোচ হ্যানসি ফ্লিকের পরিকল্পনা ও রণকৌশল ছিল ঠিকই। অন্যদিকে রিয়ালের অজান্তে চোটের কারণে ক্ষত ছিল গত মৌসুমে চারবার হারের কারণে, যেখানে তারা মোট ১৬ গোল হজম করে। তবে আজকের ম্যাচে তা কেমন যেন প্রলেপ দিতে সক্ষম হয়। যখনই বল পেয়েছিল রিয়াল, তারা আক্রমণে ঝাঁপিয়ে পড়ে, তবে বলের দখলে বেশি এগিয়ে ছিল বার্সেলোনা, যার জন্য তারা আধিপত্য ধরে রেখেছিল। প্রথমার্ধের দ্বিতীয় মিনিটে রিয়াল পেনাল্টি পায়, তবে ভিএআরের মাধ্যমে নিশ্চিত হয় যে ইয়ামাল উল্টো ভিনিসিয়ুসের উপর ভুল করেছেন। ম্যাচের গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে বার্সার জন্য সুযোগ তৈরি হয়, তবে ব্যর্থ হয়। প্রথমার্ধের ৩৩ মিনিটে ফেররান তোরেসের দুর্বল শট থিবো কোর্তোয়া পরিস্থিতি সামাল দেন। দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেদ্রি দারুণ এক গোল করেন, তবে অফসাইডের জন্য সেটা বাতিল হয়। আরও কিছু সুযোগ-সুবিধাও তৈরি হয়, তবে গোলের দেখা পাননি কোনও পক্ষই। ম্যাচের শেষ পর্যন্ত উভয় দলই আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণে লিপ্ত থাকলেও, কেউই গোলের ব্যবধানে এগিয়ে যেতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত ২-১ ব্যবধানে রিয়াল জয় লাভ করে এবং লা লিগার পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষস্থান ধরে রাখে, যেখানে বার্সেলোনা অপর পাশে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে।

