জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ‘জাতীয় অনৈক্য’ সৃষ্টি করার লক্ষ্য নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন একটি বিভ্রান্তিকর ও বিতর্কিত প্রচেষ্টা চালিয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির নেতারা। বুধবার (২৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুলের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ এই প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
তিনি বলেন, সম্প্রতি জাতীয় ঐকমত্য কমিশন তাদের সুপারিশ সরকারের কাছে উপস্থাপন করেছে। কিন্তু এ ধরনের উদ্যোগের জন্য তাদের ধন্যবাদ দেওয়া উচিত নয়। বরং, এ ক্ষেত্রে ধন্যবাদ দিতেই হবে, কারণ তারা তাদের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করেছেন বলে মনে করছি।
সালাহউদ্দিন আহমদ আরও বলেন, আমি দ্বিতীয়বারও বলতে চাই—তারা সত্যিই জনপ্রিয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার পরিবর্তে ‘জাতীয় অনৈক্য’ বৃদ্ধির চেষ্টা করছে। যদি আপনি তাদের প্রস্তাবগুলো দেখেন, দেখবেন যে, তারা জাতীয় সনদ স্বাক্ষরের পরবর্তীতে নেওয়া অনেক সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিভিন্ন আদেশসহ অন্যকিছু অন্তর্ভুক্ত করেছে।
অন্যদিকে, আজ দুপুরে রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় জাতীয় সনদ বাস্তবায়নের বিষয় নিয়ে আলোচনা ও সুপারিশ প্রধান উপদেষ্টার কাছে হস্তান্তর করে জাতীয় ঐকমত্য কমিশন। এ সময় ঐকমত্য কমিশনের সহসভাপতি আলী রীয়াজ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের হাতে সুপারিশপত্র তুলে দেন।
এই সব নিয়ে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আলোচনা ও সমালোচনা চলছে, যেখানে অনেকেরই মত, এই উদ্যোগ অন্তর্দ্বন্দ্ব ও বিভাজনের পথ প্রশস্ত করছে।

