বিংশ শতাব্দীর প্রথম দশকে পঞ্চগড়সহ উত্তরবঙ্গের বেশ কয়েকটি অঞ্চল ছিল গভীর পানির সংকটে আক্রান্ত। অনিয়মিত বর্ষা ও দীর্ঘ সময়ের দুর্ভিক্ষের ফলে মানুষের জীবনযাত্রা কঠিন হয়ে পড়ে। সেই সময়ে একজন মহান মনীষীর মানবিক উদ্যোগই ছিল হতাশাগ্রস্ত মানুষের জন্য হতাশার এই পরিস্থিতি থেকে মুক্তির এক আশার আলো।
কোচবিহারের মহারাজা নৃপেন্দ্র নারায়ণ ভূপ বাহাদুর পানীয় জলের তীব্র সংকট নিরসন এবং সাধারণ মানুষের জীবনমান উন্নয়নের জন্য একটি অনন্য পদক্ষেপ গ্রহণ করেন। তিনি পঞ্চগড় জেলার বোদা উপজেলার কেন্দ্রস্থলে প্রায় চার একর জায়গায় খাদ্যের বিনিময়ে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যে একটি বিশাল দিঘি খনন করেন, যা পরে ‘রাজার দিঘি’ নামে পরিচিত হয়, মহারাজার সম্মানানুসারে। এই দিঘির প্রধান উদ্দেশ্য ছিল শুধু পানির সংরক্ষণ নয়, পাশাপাশি মানুষের জীবন রক্ষার চেষ্টা। এই মহতী উদ্যোগটি দুঃসময়ের সময় হাজারো মানুষকে স্বস্তি এনে দিতে সক্ষম হয়।
আজকের দিনে রাজার দিঘি পঞ্চগড়ের কাছে একটি ঐতিহাসিক ও প্রাকৃতিক নিদর্শন হিসেবে পরিচিত। এটি শুধু একটি জলাধার নয়, এটি মানুষের সহযোগিতা, ঐক্য এবং সাহসের প্রতীক।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এমন উদ্যোগ আজকের জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশ সংকট মোকাবেলায় এক অমূল্য দৃষ্টান্ত। সেই সময়কার মহারাজের মানবিক বিবেক ও সেবার মানসিকতা আজও মানুষের জন্য অনুপ্রেরণা ও প্রশংসনীয়।
—今日的 খবর / ওআর
 
			 
		    
