মণিপুরি সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় উৎসব রাস পূর্ণিমােধ্যানে ধীরে ধীরে এক সাংস্কৃতিক উৎসবে পরিণত হয়েছে। এই বছরের ৫ নভেম্বর বুধবার মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জে আয়োজিত এই উৎসবটি এবার বিশেষ আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দু হিসেবে দেখা দিয়েছে। উৎসবের অন্যতম সুন্দর দিক হলো, এবার সেখানে মণিপুরি ভাষার সিনেমা প্রদর্শনের আয়োজন করা হয়েছে। এই সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে ‘ইনাফি’, ‘তিরাস’ এবং ‘হুনাসরি’ — এই তিন শর্টফিল্মের সংকলন ‘নুংশিপি’ অ্যান্থলজি ফিল্মটি। গত এক দেড় বছর ধরে তাহারা নামের সংস্থার অধীনে নির্মিত এই সিনেমাগুলো আন্তর্জাতিক স্তরে প্রদর্শিত এবং বিভিন্ন পুরস্কারও অর্জন করেছে। যদিও দর্শকদের মধ্যে এই সিনেমাগুলোর ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও, ফেস্টিভাল রুলসের কারণে এখনো এগুলো কোনও বড় প্ল্যাটফর্মে প্রকাশিত হতে পারেনি। এ কারণে সবার সুবিধার্থে রাস উৎসবে এই সিনেমাগুলোর প্রদর্শনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, এমনটাই জানান নির্মাতা শুভাশিস সিনহা। এই সিনেমাগুলোর গল্প যেন তিনটি আলাদা নারীর জীবনযাত্রার করুণ গল্পের কথা বলে, যাদের নিয়তি একই সূত্রে বাঁধা। এগুলো অ্যান্থলজি ফিল্মের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। সিনেমাগুলোর নির্মাণের পাশাপাশি চিত্রনাট্যও করেছেন শুভাশিস সিনহা। প্রযোজনা করেছেন উত্তম কুমার সিংহ ও সাজেদুল ইসলাম। চিত্রগ্রহণের দায়িত্বে থাকছেন আবিদ মল্লিক, শিল্প নির্দেশনায় সজলকান্তি সিংহ, দৃশ্যসজ্জায় সৌরভ কুমার সিংহ, সম্পাদনায় ফয়সাল নিপুণ এবং সংগীতায়োজন করেন শর্মিলা সিনহা। মূল চরিত্রে অভিনয় করেছেন জ্যোতি সিনহা। এ ছাড়া আছেন গৌরহরি চ্যাটার্জী, বিধান সিংহ, স্বর্ণালী সিনহা, সমরজিৎ সিংহ, উপেন্দ্র সিংহ, সুশান্ত সিংহ, শ্যামলী সিনহা ও অঞ্জনা সিনহাসহ আরও অনেকে। নির্মাতা জানিয়েছেন, ৫ নভেম্বর বিকাল ৫টায় প্রথম প্রদর্শনী হবে এবং সন্ধ্যা ৬টায় দ্বিতীয়টি। ভেন্যু হলো, মণিপুরি ললিতকলা একাডেমি মিলনায়তন, শিববাজার, কমলগঞ্জ। সিনেমাগুলো উপভোগ করতে দর্শকদের জন্য প্রবেশমূল্য ধার্য করা হয়েছে ২০০ টাকা। টিকিট সংগ্রহে যেতে হবে শিববাজারের শিবমন্দির সংলগ্ন মণিপুরি থিয়েটার স্টলে।

