আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিএনপি এখনও চূড়ান্ত মনোনয়ন তালিকা ঘোষণা করেনি। নির্বাচনের ৩০০ আসনের মধ্যে বেশ কিছু আসনে প্রার্থীদের মনোনয়ন দিচ্ছে না তারা, যার মধ্যে রয়েছে ৬৪টি আসন। বিভিন্ন অঞ্চলে কিছু আসনে দলীয় প্রার্থী নির্বাচিত হয়নি, আবার কিছু জেলায় একাধিক আসনের জন্য মনোনয়ন চূড়ান্ত হয়নি।
উল্লেখ্য, ঢাকা সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ২০ আসনের মধ্যে সাতটি আসনে বিএনপি কোনো প্রার্থী প্রকাশ করেনি। এতে প্রার্থীরা নানাভাবে নিজেদের ভবিষ্যৎ সুযোগ-সুবিধার কথা ভেবে আলোচনায় বসেছেন। অনেকে মনে করছেন, যদি তারা সঠিক মূল্যায়ন পান, তাহলে মনোনয়ন তালিকায় তাদের নামও উঠে আসতে পারে।
বিএনপি মনে করে, আন্দোলন-সংগ্রাম, দীর্ঘ দিনের ত্যাগ এবং ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা বিবেচনা করে উপযুক্ত প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। দলের উচ্চপর্যায়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কিছু আসন শেয়ারিং অংশীদারদের জন্য ছাড় দেওয়া হবে, আর বাকিগুলোতে দলের একক প্রার্থী মনোনীত করা হবে। তবে যারা মনোনয়ন পাওয়ার সম্ভাবনা হারাবেন, তাদের জন্য আলাদা নির্দেশনা থাকবে বলে দলের স্ট্রাটেজিস্টরা মনে করেন।
বিশেষভাবে, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য অবসরপ্রাপ্ত মেজর হাফিজ উদ্দিন আহমেদ জানান, জোটের শরিকদের জন্য কিছু আসন বরাদ্দ করে, বাকিগুলোতে দলের মূল প্রার্থী নির্বাচন করা হবে। একই সঙ্গে বিএনপি সূত্রে জানা যায়, মনোনয়নপ্রাপ্ত না হওয়া কার্যত নেতাকর্মীদের হতাশ হওয়ার কিছু নেই। তাঁরা বিভিন্ন উপজেলা, পৌরসভা ও জেলা পরিষদে পদ পেতে পারেন।
বিএনপি মনে করে, দলের মানসিকতা ও স্বার্থে নেতাকর্মীরা তাদের সিদ্ধান্তকে সম্মানের সঙ্গে মেনে নেবে। এই প্রত্যাশায় দল এখন শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি নিচ্ছে।